২০১৫ সালের পর লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন হচ্ছে ২২ নভেম্বর মঙ্গলবার। পদ প্রত্যাশীদের ব্যানার-ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে সড়ক-মহাসড়ক, অলি-গলি, গুরুত্বপূর্ণ মোড় ও সম্মেলন স্থানের আশ-পাশ।প্রধান সড়কে তৈরী করা হয়েছে শতাধিক তোরণ। তবে নেতা-কর্মীদের জিজ্ঞাসা কে হচ্ছেন জেলা সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক ?
সভাপতি পদে ৫ প্রার্থী হচ্ছেন, বর্তমান সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকু, সাবেক সভাপতি এম আলাউদ্দিন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহিম, জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি সফিকুল ইসলাম এবং জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. শাহজাহান।
সাধারণ সম্পাদক পদে ৮ প্রার্থী আছেন, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট নুরউদ্দিন চৌধুরী নয়ন এমপি, পৌরসভার মেয়র মোজাম্মেল হায়দার মাসুম ভূঁইয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এডভোকেট নুরুল হুদা পাটওয়ারী, আওয়ামী লীগ নেতা এএফ জসিম উদ্দিন আহমেদ, মমিন পাটওয়ারী, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক আবদুল মতলব, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মোজাম্মেল হক মিলন, জেলা আওয়ামীলীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট রাসেল মাহমুদ মান্না ও সাবেক ছাত্র নেতা জাকির হোসেন ভূঁইয়া আজাদ।
সম্মেলন উদ্বোধন করবেন দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম। বিশেষ অতিথি থাকবেন প্রেসিডিয়াম সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ। বিশেষ বক্তা একেএম শাহজাহান কামাল, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক হারুনুর রশীদ, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, আনোয়ার হোসেন খান।
সভাপতিত্ব করবেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকু ও সঞ্চালনা করবেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন।
এদিকে জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনকে ঘিরে জেলায় সাজ সাজ রব বিরাজ করছে। লক্ষ্মীপুর-ঢাকা মহাসড়ক ও পৌর শহরের সব সড়কে শতাধিক তোরণ তৈরি করা হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে কেন্দ্রীয় নেতাদের স্বাগত জানিয়ে লাগানো হয়েছে বিলবোর্ড, ব্যাণার ও ফেস্টুন। সম্মেলনে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থীদের সমর্থনে স্থানীয় নেতাদের পোষ্টার, ব্যাণার, ফেস্টুন সম্মেলনস্থল পর্যন্ত লাগানো হয়েছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরউদ্দিন নয়ন এমপি বলেন, সম্মেলনে বর্ণিল আয়োজন থাকবে। এতে জেলার অর্ধলাখেরও বেশি নেতাকর্মী অংশ নেবেন। এজন্য প্রত্যেক ইউনিয়ন কমিটিকে এক হাজার করে নেতাকর্মী নিয়ে আনতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব যাদেরকে দায়িত্ব দেয় তাদের নেতৃত্বে চলবে জেলা আওয়ামীলীগ। তিনি জানান, সম্মেলনে কোন ভোটাভুটি হবে না। সামনে আসছে জাতীয় নির্বাচন, মাঠে নেমে পড়েছে সরকারী ও বিরোধী দলগুলো। নির্বাচনে সরকারে পক্ষে কাজ করতে ও বিরোধীদল গুলোর সন্ত্রাসী কর্মকান্ড মোকাবেলা করতে এবং যে কোন আন্দোলন সংগ্রামে সামনের থেকে নেতৃত্ব দিতে পারবে সম্মেলনের মাধ্যমে এমন নেতৃত্ব দেখতে চান তিনি।
এর আগে ২০১৫ সালের ৩ মার্চ জেলা স্টেডিয়ামে জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
75Share