অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে মালয়েশিয়ায় বড় ধরনের অভিযানের প্রথম দিন ২ হাজার ৪৩৩ জনকে আটক করা হয়েছে, যার মধ্যে ৩৮৭ জন বাংলাদেশি রয়েছেন বলে স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে।
মালয়েশিয়ার দ্য স্টার অনলাইনের খবরে বলা হয়েছে, মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাতুক সেরি ড. আহমদ জাহিদ হামিদি সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে অভিযানের সর্বশেষ পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করেন। মন্ত্রী জানান, দেশের ৪০টি এলাকায় অভিযান চালিয়ে রবিবার মোট ৮ হাজার ১০৫ জন সন্দেহভাজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়, তবে ২ হাজার ৪৩৩ জন বৈধ কাগজপত্র দেখাতে না পারায় তাদের আটক করা হয়। এদের মধ্যে ৭১৭ জন ইন্দোনেশীয়, ৫৫৫ জন মিয়ানমারের, ৩৮৭ জন বাংলাদেশি এবং ২২৯ জন নেপালি নাগরিক রয়েছে। আটক বাকিরা ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া, ভারত, পাকিস্তান, চীন, ফিলিপাইন, থাইল্যান্ড ও নাইজেরিয়ার নাগরিক বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়। প্রায় তিন কোটি জনসংখ্যার মালয়শিয়ায় মোট শ্রমশক্তির ১৬ শতাংশই বিদেশি। দেশের ওপর চাপ কমাতেই অবৈধদের বিরুদ্ধে এই অভিযানে নেমেছে দেশটির সরকার। মালয়েশিয়ার অভিবাসন দপ্তরের উপ-পরিচালক সারাভানা কুমার ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে বলেছেন, অভিযানে প্রায় ৪ লাখ অবৈধ অভিবাসীকে ফেরত পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সমপ্রতি সংবাদমাধ্যমে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বৈধ কাগজপত্র ছাড়া কোনো শ্রমিককে তারা দেশে থাকতে দেবে না। এর অংশ হিসাবে রবিবার এ অভিযান শুরু হয়, যা চলতি বছরের শেষ পর্যন্ত চলবে। বাংলাদেশ সরকারের তথ্য অনুযায়ী, প্রায় পাঁচ লাখ বাংলাদেশি বর্তমানে মালয়েশিয়ায় কাজ করছেন, যাদের একটি অংশ সমপ্রতি মালয়েশিয়া সরকারের দেয়া সুযোগ কাজে লাগিয়ে বৈধ অভিবাসী হলেও অনেকেই বৈধ কাগজপত্র সংগ্রহ করেননি। মালয়েশিয়ার অভিবাসন দপ্তর বলছে, রবিবার থেকে যাদের আটক করা হয়েছে, তাদের বৈধ কাগজ দেখানোর জন্য ১৪ দিন সময় দেয়া হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যারা বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারবেন, তারা মালয়শিয়ায় থাকতে পারবেন। বাকিদের দেশে ফেরত পাঠানো হবে। অবৈধ অভিবাসন বন্ধে সমপ্রতি বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়া সরকারের মধ্যে একটি চুক্তি হয়েছে, যার আওতায় বাংলাদেশ থেকে এখন কেবল সরকারিভাবেই মালয়েশিয়ায় লোক পাঠানো হচ্ছে।
0Share