মো: কাওছাৱ, লন্ডন: ব্রিটেনের এক শিশুর বাবা ও তার সৎ মা তাকে খুন করাৱ অভিযেগ উঠেছে। ফাঁস হওয়া এক অডিওতে শোনা যায়, শিশুটি কেঁদে কেঁদে বলছে “কেউ আমাকে ভালোবাসে না।” এর কয়েক ঘন্টা পরেই তার বাবা ও সৎ মা তাকে মেরে ফেলে। এ ঘটনায় ৬ বছর বয়সী শিশু আর্থার ল্যাবিঞ্জো হেগসকে হত্যার দায়ে ২৯ বছর বয়সী থমাস হেগস এবং ৩২ বছর বয়সী এমা টাস্টিনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
নির্মম এই হত্যার ঘটনাটি ঘটে গত জুন মাসে ওয়েস্ট মিডল্যান্ডের সলিহাল এলাকায়। শিশু আর্থার হত্যাকাণ্ডের বিচারে আদালত জানিয়েছে, “ব্যাপক আঘাতের ফলে শিশুটির মস্তিষ্ক মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মেডিকেলের ভাষায় এটাকে শিশু নির্যাতন এবং হত্যা হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।” শিশুটিকে তার বাবা ও সৎ মা না খাইয়ে রাখতো এবং মেরে ফেলার আগে তাকে ১৪ ঘন্টা দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। মঙ্গলবার কভেনট্রি ক্রাউন কোর্টে শিশু আর্থারের একটি অডিও-ভিডিও ক্লিপ দেখানো হয়। এতে দেখা যায়, আর্থারকে খালি একটি বিছানায় বালিশ ছাড়া পাঁচ দিন পর্যন্ত রাখা হয়েছিল।
তার সৎ মা টাস্টিন তার মাথা ধরে ফ্লোরে সজোরে আঘাত করতে থাকে। এরপর গুরুতর আহত হয় শিশুটি। গুরুতর আহতাবস্থায় তাকে ১৭ জুন রাত ১ টায় বার্মিংহাম চাইল্ড কেয়ার হাসপাতালে আইসিইউতে রাখা হয়। এরপর হাসপাতালে মৃত্যু হয় তার। ভিডিও ফুটেজের পাশাপাশি একটি অডিও ক্লিপে শিশু আর্থারকে বলতে শোনা যায়, “কেউ আমাকে ভালোবাসে না।
কেউ আমাকে খেতে দেয় না।” গত মাসে আর্থারের চাচা আদালতে জানিয়েছিল, “দীর্ঘ দিন অনাহারে রেখে আর্থারকে শক্ত ফ্লোরে মাথা থেতলে দিয়ে হত্যা করেছে টাস্টিন।” প্রসিকিউটররা একটি ভয়েস ম্যাসেজ উদ্ধার করেছে, যেখানে টাস্টিন তার স্বামী আর্থারের কবর খোড়ার জন্য বলছে। অভিযুক্ত হেগস এবং টাস্টিন আর্থারকে হত্যার কথা অস্বীকার করেছে। এ ঘটনায় এখনো বিচার চলছে।
0Share