লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরগাজী ইউনিয়নে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে আসবাবপত্রসহ একটি বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলা চরগাজী ইউনিয়নে চরলক্ষ্মী গ্রামের বাকি মিয়ার বাড়িতে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিস আসার আগেই মুহুর্তে আগুনের লেলিহান শিখা বসত ঘরের সবকিছু ভস্মিভুত হয়ে যায়। এত নগদ অর্থ, স্বর্ণালঙ্কার, সকল আসবাবপত্র, খাদ্যসামগ্রী এবং দলিল-দস্তাবেজসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এতে প্রায় ১৫ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বাড়ির লোকজনের চিৎকারে প্রতিবেশীরা আগুন নেভানোর চেষ্টাকরে কিন্তু তার মধ্যেই পুড়ে ছাই হয়ে যায় ঘরটি। বসত ঘরে পেট্রোল দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে এ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয় বলে প্রাথমিকভাবে তারা ধারনা করছেন বাড়ির লোকজন।
ওই গ্রামের বাসিন্দা মন্নান উদ্দিন বলেন, রাত সাড়ে ১২টার দিকে আগুন লাগার চিৎকারে ঘটনাস্থলে এসে আগুন নেভানোর চেষ্টা করি, কিন্তু কিছুই রক্ষা করা সম্ভব হয়নি। পূর্ব বিরোধের জের ধরে এ অগ্নিকাণ্ড হয়েছে বলে ধারনা করা হচ্ছে।
ক্ষতিগ্রস্ত বাকি মিয়া বলেন, আগুনে মাথা গোজার একমাত্র বসতঘর এবং ঘরে রাখা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও কিছু নগদ অর্থসহ শেষ সম্বল সবকিছু আগুনে পুড়ে তিনি এখন নিঃস্ব হয়ে গেছেন। সবকিছু হারিয়ে তিনি এখন খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করছেন। তিনি আরো অভিযোগ করে বলেন, এ অগ্নিকাণ্ডে ঘটনায় আমার বড় ছেলে ওয়াহিদুর রহমান বাপ্পির আগের স্ত্রী রিয়া বেগমের হাত রয়েছে। বিগত ২০২০ সালে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়, এনিয়ে আমাদের মধ্যে বিরোধ রয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত বাকি মিয়ার ছোট ছেলে বিপু জানান, আমরা নোয়াখালীতে থাকায় বাড়িতে শুধু নানু ছিল, এরিমধ্যে অগ্নিকাণ্ড। ভাবী এ সংসারে থাকাকালীন সময়ে এরআগেও অগ্নিকাণ্ডের মত ঘটনা ঘটিয়েছেন। এনিয়ে থানায় জিডি করবো। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে এর বিচার চাই।
রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলমগীর হোসেন বলেন, অভিযোগ পেলে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
149Share