লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলা এবং ভোলার দৌলতখান উপজেলার সীমানার মেঘনা নদীতে একটি মাছ ধরার ট্রলারে হামলা করেছে জলদস্যুরা। এ সময় দস্যুরা জেলেদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এতে ৩ জেলে গুলিবিদ্ধ হয়েছে ও
মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ১২ টার দিকে বিচ্ছিন্ন দ্বীপ চর আবদুল্লাহ ইউনিয়নের পশ্চিম পাশে এ ঘটনা ঘটে। রাত ৪ টার দিকে তাদের উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আহতরা হলেন, কমলনগর উপজেলার চরফলকন এলাকার তসির আহম্মদের ছেলে মো. আব্বাস মাঝি (২৮), রামগতির পশ্চিম চরকলাকোপা এলাকার মো. ইউনুসের ছেলে মো. ইউসুফ (২৭) এবং নোয়াখালীর সুবর্ণ চর এলাকার আলমগীর ফরাজির ছেলে মো. ফারুক (৩৫)।
ঘটনার সময় মহিউদ্দিন (৩৫) নামে এক জেলেকে নিয়ে যায় দস্যুরা। পরে বুধবার (৯ নভেম্বর) সকাল ৯ টার দিকে ভোলার কাজিরখিল এলকার ভোলার চর থেকে তাকে উদ্ধার করে স্বজনরা। উদ্ধার হওয়া মহিউদ্দিন নোয়াখালীর সুবর্ণচর এলাকার নানু ফরাজির ছেলে।
আহতরা জানায়, আব্বাস মাঝিসহ ৬ জন জেলে মেঘনায় মাছ শিকারে যায়। নদীতে জাল ফেলার প্রস্তুতি নেওয়ার সময় জেলে নৌকায় দস্যুরা গুলি ছোঁড়ে। এতে ৩ জেলে গুলিবিদ্ধ হয়। এর মধ্যে আব্বাস ও ইউসুফের বাম হাতে গুলিবিদ্ধ হয়। আহত ফারুকের ডান পায়ের ওপরের অংশে ও ডান হাতে গুলি লেগেছে। এসময় নৌকা থেকে মহিউদ্দিনকে নিয়ে যায় দস্যুরা।
ঘটনায় দুইজন জেলে সুস্থ্য থাকলেও দস্যুরা ট্রলারের তেল নিয়ে যাওয়ার তারা ঘটনাস্থল ফিরতে পারছিল না। পরে তারা কমলনগর উপজেলার লুধুয়া মাছঘাটে খবর পৌঁছায়। রাত ২ টার দিকে ওই ঘাটের আড়ৎদাররা ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদেরকে উদ্ধার করে। রাত ৪ টার দিকে তাদেরকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আহত আব্বাস মাঝি বলেন, আমরা নদীতে জাল ফেলার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। হঠাৎ করে দূর থেকে আমাদের নৌকাতে জলদস্যুরা গুলি ছোঁড়ে। এতে আমরা তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়েছি।
কমলনগরের লুধুয়া মাছঘাটের আড়ৎদার মো. লিটন বলেন, মধ্যরাতে আব্বাস মাঝির নৌকাতে দস্যুরা হানা দেয়। এসময় জেলেরা গুলিবিদ্ধ হয়েছে। খবর পেয়ে কমলনগর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ও আলেকজান্ডার কোষ্টগার্ডের কন্টিজেন্ট কমান্ডারকে (সিসি) জানিয়ে ঝুঁকি নিয়ে আমরা নিজেরাই ঘটনাস্থল থেকে আহত জেলেদের উদ্ধার করে নিয়ে আসি।
সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক একে আজাদ বলেন, তিনজন গুলিবিদ্ধ রোগী হাসপাতালে ভর্তি আছে। তারা চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে রয়েছেন।
রামগতির বড়খেরী নৌ-পুলিশের ইনচার্জ (পরিদর্শক) ফেরদৌস আহম্মদ বলেন, ঘটনাটি ভোলা জেলার দৌলতখান এলাকায় একটি চরের পাশে।
ভূক্তভোগীদের ওই এলাকায় গিয়ে এ বিষয়ে মামলা দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছি। আমাদের পক্ষ থেকেও নদীতে দস্যুদের দমনে অভিযান চালানো হবে।
1Share