কমলনগর প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুরের সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এমওডিসি ডা: নার্গিস পারভীন কর্তৃক রোগীর সাথে অপেশাদার ও অসৌজন্যমুলক আচরণ এবং চিকিৎসা সংক্রান্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষা অর্থ বানিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। এ অভিযোগে তার বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসক ও সিভিল সার্জন বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগি রোগীর স্বামী ইব্রাহিম। এঘটনায় জেলা সিভিল সার্জন তদন্ত টীম গঠন করার কথা জানিয়েছেন। ভুক্তভোগি কমলনগর উপজেলা উত্তর চর লরেঞ্চ গ্রামের বাসিন্দা।
সিভিল সার্জন ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা থেকে জানা যায়, অভিযোগকারী মোঃ ইব্রাহীমের স্ত্রী (ভিকটিম) গাইনী বিশেষজ্ঞ ডাঃ নার্গিস পারভীনের নিকট চিকিৎসা করাতে যায়। ডা. রোগীর অবস্থা বুঝে বিভিন্ন ধরণের বাণিজ্যিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা লিখেন। তার নিজস্ব চেম্বার গাইনী কেয়ার ডায়াগনস্টিক এন্ড কনসালটেশন টেষ্টগুলো করাতে প্রায় ৭হাজার টাকা দাবি করেন।
রোগীর চাহিদা অনুযায়ী পরীক্ষা-নিরীক্ষাগুলো অন্য ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ১ হাজার ৪শত টাকা দিয়ে করানো হয়। পরে ডা.নার্গিস পারভীনের কাছে রিপোর্টগুলো দেখাতে আবারো ভিজিট দেন। কিছুক্ষণ পরে তিনি ও তার স্ত্রী জানতে পারেন তাদের টেষ্ট রিপোর্টের ফাইলটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে উধাও হয়ে গেছে।
বিষয়টি জানাজানির পর ডাক্তার ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার কর্মচারী সেলিম রেজা নামে এক ব্যক্তি হঠাৎ বাজে ব্যবহার ও অর্তিকিত হামলার চেষ্টা করে তাদের স্বামী-স্ত্রীর ওপর। তবে অন্যান্য রোগি থাকায় ঝামেলা এড়িয়ে যান তারা। কিছুক্ষণ পরে আবারও তাকে ও তার স্ত্রী(রোগী)কে অশালীন ভাষায় গালমন্দ করতে থাকে ডাক্তার। দীর্ঘ সময় পরে তার চেম্বারে গেলে ডাক্তার টেষ্টের ফাইলটি রোগীর মুখের উপর ছুড়ে ফেলে।
ডা.নার্গিস পারভিনের এমন অস্বাভাবিক আচরণ দেখে মোঃ ইব্রাহীমের স্ত্রী (রোগী) অসুস্থ হয়ে পড়ে । তারপরেও ডাক্তারের নিকট গেলে ডাক্তার আবারও রোগীকে কিছু টেষ্ট করাতে বলে। ইব্রাহীম জানায়, ডাক্তারের সেন্টারে পরীক্ষা গুলো না করানোর কারণে এমন বাজে আচারণ করা হয়েছে তাদের সাথে।
অভিযোগকারী ইব্রাহিম আরও দাবি করেন, একজন গাইনী এসবিবিএস ডাক্তার ৮শত টাকা প্রথম ভিজিট এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষার রিপোর্ট দেখাতে আবারো ৫শত টাকা রোগীর কাছ থেকে নিয়ে খুবই খারাপ আচরণ করেছেন।
এ বিষয়ে জানতে ডা:নার্গিস পারভীনের ফোনে কল দিয়ে সংযোগ পাওয়া যায়নি।
অন্যদিকে জেলা সিভিল সার্জন আহমেদ কবির বলেন, ভুক্তভোগী ইব্রাহিমের লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ নুরে-এ-আলম বলেন, ভুক্তভোগীর লিখিত অভিযোগ দেখে খুবই কষ্ট লেগেছে। বিষয়টা অমানবিক। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
961Share