নিজস্ব প্রতিনিধি | লক্ষ্মীপুরটোয়েন্টিফোর
লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার তোরাবগঞ্জ বাজারে ১৮ কেজি মাংসে ৩ কেজি কম দেয়ার প্রতিবাদ করায় ক্রেতাকে মারধর করেছে কসাই বাহার ও তার লোকজন। এঘটনা জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ এ কল দেয়ার পর সোমবার ( ৩ মার্চ) দুপুরে ২ কসাইকে আটক করেছে কমলনগর থানা পুলিশ ।
এর আগে শনিবার (১ মার্চ) তোরাবগঞ্জ বাজারে বাহার কসাইয়ের দোকানে ক্রেতা মন্তাজুর রহমানকে হেনস্থা করে কসাই বাহার ও তার কর্মচারীরা । মন্তাজুর রহমান একই উপজেলার চর মার্টিন গ্রামের বাসিন্দা।
পুলিশ ও ভুক্তভোগী ভুক্তভোগী মন্তাজুর রহমান জানায়, পারিবারিক অনুষ্ঠানের জন্য গত শনিবার স্থানীয় তোরাবগঞ্জ বাজারের মাংস কেনার জন্য আসি। এসময় গোস্ত বিক্রেতা বাহারের সাথে হাড় ছাড়া ৭শ ৮০ টাকা হারে ১৮ কেজি মাংস কেনার জন্য দরদাম চুড়ান্ত করি।
এক পর্যায়ে বাহার ও তার লোকজন আমাকে ১৮ কেজি মাংস মেপে বুঝিয়ে দেন। মাংস মাপার এক পর্যায়ে আমি দেখতে পাই, আমাদেরকে যে পাল্লায় মাংস মেপে বুঝিয়ে হয়েছে সেখানে ২ কেজি এবং ১ কেজি ওজনের দুটি বাটখারাসহ মোট ১৮ কেজি মেপে দেয়া হয়েছিল। যাতে মোট মাংস আসলো ১৫ কেজি। ৩ কেজিই কম দিয়েছে বিক্রেতা।
এটা দেখার সাথে সাথে আমরা ভিডিও করতে গেলে বাহারের দোকানের ছেলে আমাকে কিলঘুষি মেরে ফেলে দেয়। আমি ওঠে দাঁড়াতে চেষ্টা করলে আবারো কিলঘুষি মারে। আমার দাঁড়ি ধরে টেনে হেনস্থা করে।
ভুক্তভোগী মন্তাজুর রহমান জানায়, ঘটনার পরপরই আমি তোরাবগঞ্জ বাজারের কয়েকজন ব্যবসায়ীকে বিষয়টি অবহিত করি। কিন্ত কেউ এদের বিষয়ে দায়িত্ব নিতে রাজি হননি। অনুষ্ঠানের কারণে শনিবার এবং রোববার আমি ব্যবস্থ ছিলাম। পরে সোমবার আমার অনুষ্ঠান শেষে জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ কল দেয়ার পর কমলনগর থানার পুলিশ এসে ২জনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। ভুক্তভোগী আরো জানান, দুপুরে আমি থানায় গিয়ে কসাই বাহার, তার বাবা তোফায়েল, কসাই সাহেদ এবং কসাই হারুনসহ ৪ জনের নামে অভিযোগ করি।
কমলনগর থানার এসআই মজিবুর রহমান জানান, জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ এ কল দেয়ার পর আমরা তোরাবগঞ্জ বাজারে গিয়ে কসাই বাহার ও কসাই হারুনকে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
363Share