এদিকে ঘটনাটি নিয়ে সদর মডেল থানায় অভিযোগের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন জমির মালিক মো. মাঈন উদ্দিন।
জানা গেছে, জমির মালিক মাঈন উদ্দিন একটি ব্যাংক থেকে ওই জমি কাগজপত্র জমা দিয়ে ৯ কোটি টাকা ঋণ নেয়। ধারদেনায় পড়ে তিনি জমিটি বিক্রির জন্য আনোয়ারের সঙ্গে প্রায় সাড়ে ৪ কোটি টাকা মূল্য নির্ধারণ করে। এতে ২৮ লাখ টাকা দিয়ে একটি নন-জুডিসিয়াল স্ট্যাম্পে বায়না চুক্তি করা হয়।
জমির মালিক মাঈন উদ্দিন বলেন, ব্যাংকের ঝামেলা শেষ করে আনোয়ারকে জমি রেজিস্ট্রি করে দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ব্যাংকের সমস্যা এখনো সমাধান হয়নি। এর মধ্যেই জমিটি দখলে নিতে আনোয়ার অবৈধভাবে পাঁয়তারা করে আসছিল। জুডিসিয়াল স্ট্যাম্পে বায়না হলেও তা রেজিস্ট্রি ছিল না। তিনি আমাকে ২৮ লাখ টাকা দিয়েছেন। আমি তা লভ্যাংশ হিসেবে ফেরত দিতে চেয়েছি, কিন্তু তিনি নিচ্ছেন না। তিনি অবৈধভাবে ভাড়াটে লোকজন এনে আমার সম্পত্তি দখল করেছেন। আমার ভবনে ‘সেন্ট মার্টিন’ সাইনবোর্ড ছিল, তিনি তা সরিয়ে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দিয়েছেন। রাতেই এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দেবো।
দখলদার আনোয়ার হোসেন বলেন, ৯ মাস আগে ২৮ লাখ টাকা দিয়ে জমি কেনার জন্য মাঈন উদ্দিনের সঙ্গে নন-জুডিসিয়াল স্ট্যাম্পে বায়না করেছি। চুক্তি অনুযায়ী তিনি আমাকে ভবনসহ জমি বুঝিয়ে দেওয়ার কথা ছিল। প্রায় ৪ কোটি টাকা আমার ব্যাংকে পড়ে আছে। তা আমি উত্তোলন করতে পারছি না। এখন বায়না চুক্তির ভিত্তিতেই আমি ভবনসহ জমি দখল করেছি।
লক্ষ্মীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মোন্নাফ বলেন, ভুক্তভোগীকে লিখিত অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। তিনি অভিযোগের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন। অভিযোগ পেলে আমরা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেব।
14Share