মাছের বংশবিস্তার নিশ্চিতে সাগরে মাছ ধরার ওপর ৫৮ দিনের সরকারি নিষেধাজ্ঞার অমান্য করে মাছ শিকার করায় এক ট্রলারের মালিককে মৎস্য আইনে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আটক ট্রলার থেকে আনুমানিক ৩০ মন ইলিশসহ সামুদ্রিক মাছ জব্দ করা হয়।
গতকাল বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে রামগতি কোস্টগার্ডের সদস্যরা উপজেলার সেন্টারঘাট এলাকা থেকে মাছসহ ট্রলারটি আটক করে।
মৎস্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, মৎস্য সম্পদের সুরাক্ষায় ২০১৫ সাল থেকে এই নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি চালু করে সরকার। শুরুতে শুধু ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রলার এর আওতায় থাকলেও ২০১৯ সালে সব ধরনের নৌযানকে এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হয়। বঙ্গোপসাগরে মাছসহ মূল্যবান প্রাণীজ সম্পদের ভান্ডার সুরক্ষায় ৫৮ দিন বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞারোপ করে সরকার।
অভিযানকালে সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ সৌরভ-উজ-জামান উপস্থিত ছিলেন। সামুদ্রিক মৎস্য আইন, ২০২০ এর ধারা ৩ এর উপধারা (৩) অনুযায়ী তিঁনি ট্রলারের মালিক জালাল শিকদারের থেকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন। এছাড়া আটকৃত ইলিশ সহ অন্যান্য প্রজাতির প্রায় ১ হাজার ২০০ কেজি সামুদ্রিক মাছ উপজেলা মৎস্য দপ্তর, কোস্টগার্ড, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বাংলাদেশ পুলিশের উপস্থিতিতে এতিমখানা ও স্থানীয় দুস্থ, গরিব-দুঃখী মানুষের মধ্যে বিতরণ করা হয়। পরবর্তীতে নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন সময়ে আর মাছ ধরবে না মর্মে মুচলেকা দিলে ট্রলার ও জালসহ জেলেদের ছেড়ে দেওয়া হয়। সরকারি নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে মৎস্য বিভাগ, নৌ পুলিশ ও কোস্টগার্ডের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
0Share