লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে সমালয় পদ্ধতিতে চাষকৃত ৫০ একর জমির ধান কাটা শুরু হয়েছে। শনিবার ( ২০ মে) বিকেলে উপজেলার উত্তর চর লরেঞ্চ গ্রামে হারভেস্টার মেশিনের সাহায্যে ধানকাটার উদ্ভোধন করেন, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আতিক আহমেদ। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ভারপ্রাপ্ত খাদ্য কর্মকর্তা তারেকুল আলম,উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষন কর্মকর্তা সুশান্ত কুমার দত্ত এবং স্থানীয় কৃষকরা ।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা জানান, কৃষিতে যন্ত্রের ব্যবহার সহজ করতে ৫০ একর জমি একত্রিত করে সমালয় পদ্ধতিতে ধান চাষ করা হয়েচিল। চলতি মৌসুমের ১৩ ফেব্রুয়ারি যন্ত্রের মাধ্যমে ধানের চারা রোপণ করা হয়। এর আগে বিশেষ ট্রেতে চারা তৈরি করা হয়। শনিবার হারভেস্টার মেশিনের সাহায্যে ধান কেটে কৃষক ফসল ঘরে তোলেন। এই পদ্ধতিতে শ্রমিক সংকট ও নানা প্রতিবন্ধকতা দূর হয়েছে। কমেছে উৎপাদন খরচও। তিনি আরো জানান, এ প্রকল্পের কৃষকদের জন্য বীজ ধান, চারা তৈরি, রোপণ, সার এবং ধান কেটে ঘরে তুলে দিয়েছে উপজেলা কৃষি অফিস। কৃষকরা শুধুমাত্র সেচের পানি ও চাষের পয়সা খরচ করেছে।
উপজেলা ভারপ্রাপ্ত খাদ্য কর্মকর্তা তারেকুল আলম জানান, আধুনিক পদ্ধতিতে উৎপাদিত ধান কৃষক যাতে সরাসরি খাদ্যগুদামে বিক্রি করতে পারে সেজন্য কৃষকদের জানানো হয়েছে। এ পদ্ধতিতে রোপণকৃত ধান থেকে উপজেলা খাদ্য অফিস প্রতিমণ ধান ১ হাজার ৮০ টাকা দরে সরাসরি কৃষকদের থেকে সংগ্রহ করবে।
এসময় সমালয় পদ্ধতিতে জমিচাষ করা কৃষক শাহে আলম জানান, তিনি ৪০ শতক জমিতে প্রায় ৪০ মণ ধান পাবেন। তিনি আরো জানায়, এ পদ্ধতিতে কৃষকের কষ্ট ও খরচ কমে গেছে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্ত্রে জানা যায়, সমালয় পদ্ধতিতে বিস্তীর্ণ জমি একত্রিত করে একই সময়ে একই সঙ্গে আধুনিক যন্ত্রের মাধ্যমে চাষাবাদের আওতায় আনা হয়। ট্রে ও পলিথিনে বিশেষ পদ্ধতিতে তৈরি করা হয় বীজতলা। চারা তৈরি হতে সময় প্রায় সাত দিন। সেখান থেকেই বীজ নিয়ে বপন করা হয় ক্ষেতে। চলতি বোরো মৌসুমে লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার চর লরেঞ্চ গ্রামে ৬০ জন কৃষকের ৫০ একর জমিতে এমন সমালয় পদ্ধতিতে ধানের চাষাবাদ করা হয়েছিল।
এ কর্মসূচির আওতায় জমিতে যন্ত্রের মাধ্যমে ধানের চারা রোপন থেকে কর্তন পর্যন্ত সব প্রক্রিয়া শেষ হবে। এতে উৎপাদন খরচ কমার পাশাপাশি ধান চাষে লাভবান হবে কৃষক।
160Share