নিজস্ব প্রতিবেদক | লক্ষ্মীপুরে সাতদিন ব্যাপী সাতাঁর প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে। লক্ষ্মীপুর পৌরসভার সাহাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পুকুরে কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মোঃ মোরশেদ আলম।
প্রশিক্ষণের শুরুতে প্রকল্পের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ শিশু একাডেমি লক্ষ্মীপুরের কর্মকর্তা ও আইসিবিসি প্রকল্পের সহকারী প্রকল্প ব্যবস্থাপক মাদুল মিয়া।
বক্তব্যে তিনি বলেন, প্রতি বছর বাংলাদেশে পানিতে ডুবে প্রায় ১৪ হাজার শিশু মারা যায়। যার অন্যতম কারণ সাঁতার না জানা। তিনি আরও জানান এই প্রকল্পের অন্যতম উদ্দেশ্য ৬ থেকে ১০ বছর বয়সী শিশুদের নিরাপদ সাঁতার প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে তাদের পানিতে ডুবে যাওয়া থেকে সুরক্ষা প্রদান করা।
আইসিবিসি প্রকল্পটি লক্ষ্মীপুরে বাস্তবায়ন করবে, বেসরকারি সহযোগী সংস্থা পদক্ষেপ মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্র। পদক্ষেপ মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্রের কার্যক্রম সমন্বয়কারী মিনহাজ হাসান সুজন জানান, প্রকল্পের আওতায় শিশুদের সাঁতার প্রশিক্ষণের জন্য স্থানীয় পর্যায়ে লক্ষ্মীপুরের তিনটি উপজেলায় ১শ জন সাতাঁর প্রশিক্ষক থাকবেন। যার মধ্যে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলায় ৪০জন, কমলনগরে ৩০ জন এবং রামগতিতে ৩০জন।
প্রকল্প মেয়াদে লক্ষ্মীপুর জেলার সদর উপজেলায় ২০টি, কমলনগর উপজেলায় ১৫টি এবং রামগতি উপজেলায় ১৫টি সাঁতার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থাকবে। যেখানে ৬-১০ বছর বয়সি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গামী শিশুকে সাঁতার প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে।
বাংলাদেশ শিশু একাডেমিরতত্ত্বাবধান এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সহযোগিতায় শিশুদের জীবন রক্ষাকারী সাঁতার প্রশিক্ষণ কার্যক্রমটি বাস্তবায়িত হচ্ছে। জেলা শিশু বিষয়ক অফিসারসহ প্রকল্প অফিসার ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট অফিসারদের সহায়তায় প্রকল্প এলাকায় প্রাথমিক বিদ্যালয় চিহ্নিত করে তাদের সাঁতার প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে যুক্ত করা হয়েছে।
শিশুদের জীবন রক্ষাকারী সাঁতার প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের মাধ্যমে প্রশিক্ষিত স্থানীয় সাঁতার প্রশিক্ষকদের (এলএসআই) সহায়তায় এলাকার একটি নির্দিষ্ট পুকুরে বাঁশের তৈরি নিরাপদ সাঁতার কেন্দ্রে ৬-১০ বছর বয়সি শিশুদের সাঁতার প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে।
সদর উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মোঃ মোরশেদ আলম জানান, একটি নিরাপদ পুকুরে শিশুদের সাঁতার প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে পানিতে ডুবা প্রতিরোধ করা শিশুদের জীবন রক্ষাকারী সাঁতার প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের প্রধান উদ্দেশ্য। এই প্রশিক্ষণ গ্রহণের ফলে শিশুরা সাঁতার এবং উদ্ধার প্রক্রিয়া শিখে একদিকে যেমন ডুবে যাওয়া থেকে নিজেদের বাঁচাতে সক্ষম হবে পাশাপাশি অন্যকেও পানিতে ডুবে যাওয়া থেকে উদ্ধার করতে পারবে।
0Share