রহমত উল্লাহ: রামগঞ্জ পৌরসভা এলাকার চিতোশী সড়কের সুধারামে পাটাওয়ারী বিক্সস নামের এক ইটভাটার কারনে তিন গ্রামের বাসিন্দা ও চারটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের চরম ভোগান্তি। সারা বছর ধরে ইটভাটার ইট, মাটি,কাঠ ও কয়লাসহ যাবতীয় মালামাল বহনকারী ট্রলিসহ বারী যানবাহন চলাচলে সুধারাম থেকে ভাদুর উচ্চ বিদ্যালয় সড়কটি সংস্কারের অল্প সময়ের মধ্যে খানখন্দের চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে।
ফলে এ সড়ক দিয়ে চলাচলকারী পশ্চিম ভাদুর,মধ্যভাদুর ও কেথুড়ী গ্রামের লোকজন এবং ভাদুর উচ্চ বিদ্যালয়, কেথুড়ী ফয়েজআম আলিম মাদ্রাসা, মধ্যভাদুর, পশ্চিম ভাদুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সারা বছর কাঁদামাটি, ধুলাবালি নিয়ে চলাচল করতে হয়। ফসলি জমির টপসয়েলসহ মাটি কেটে নেওয়ায় মধ্যভাদুর ,কেথুড়ী গ্রামের ফসলি মাঠগুলো এখন জলাভুমিতে পরিনত হয়েছে।
চাষাবাদ না থাকায় কৃষক পরিবার গুলো কষ্টে দিন যাপন করছেন। শাকসবজির উৎপাদন নেই, নারিকেল, সুপারি,আম,কাঠালসহ ফলফলাদি গাছে ফল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু,বৃদ্ধসহ সব বয়সী মানুষ। শিক্ষার্থীরা স্কুল,কলেজ,মাদ্রসায় যেতে যাচ্ছে না।
এ সব সমস্যার মাঝে চলছে এলাকার মানুষের জীবন যাপন। সরে জমিনে গেলে, স্থানীয় এমরান হোসেন, আবদুস সালাম, জয়নাল আবেদীন,কালু মিয়াসহ অনেকে বলেন, ইটভাটাটির ফলে এ এলাকার লোকজনের যত দূর্গতি। গ্রামবাসীর চলাচলের গুরুত্বপূর্ন সড়কটি ভেঙ্গেচুরে ৪ থেকে ৫ বছর যাবত ছোট বড় যানবাহন চলাচল বন্ধ আছে।সড়কটি দিয়ে বর্ষা মৌসুমে কাঁদা মাটি ও সুকনো মৌসুমে ধুলাবালির জন্য পায়ে হেঁটেও চলাচল করা যাচ্ছে না।
কৃষক জহিরুল ইসলাম বলেন, বাপ দাদার আমল থেকে কৃষি কাজ কওে আসছি। বর্তমানে ইটভাটার মাটি কেটে মাঠটি নষ্ট কওে দিয়েছে। এখন আর চাষবাদ করা যায় না,তাই পরিবার নিয়ে কষ্টে দিন যাচ্ছে। তারা সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের নিকট সহযোগিতা চান এবং দ্রুত ইটভাটাটি সরিয়ে নেওয়ার দাবী জানান।
ইটভাটার মালিক রেজা পাটোয়ারী সাথে মোবাইলে বার বার চেষ্টা করেও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে হাবীবা মীরা জানান, পৌরসভা এলাকার ভিতর ইটভাটা আছে এটা আমার জানা নেই, শীঘ্রই ইটভাটার কাগজপত্র যাচাই বাচাই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
0Share