সানা উল্লাহ সানু: মাত্র ৪শত মিটার সড়কের কারণে জনপদ থেকে সম্পূর্ন বিচ্ছিন্ন হতে চলছে লক্ষ্মীপুর জেলার ইলিশের সর্ববৃহৎ মাছ ঘাট কমলনগরের মতিরহাট বাজার। ফলে কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সরকারী মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রসহ মেঘনা পূর্বাঞ্চলেরর সবচেয়ে প্রাচীন এ ব্যবসা কেন্দ্রের ব্যবসায়ীরা পড়তে যাচ্ছে বড় রকমের বিপর্যয়ের মুখে। এমনটাই দাবী করেছে এলাকাবাসী ও বাজারের ব্যবসায়ীরা।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়,কমলনগরের তোরাবগঞ্জ বাজার থেকে মতিরহাট মাছ ঘাটের দূরত্ব মাত্র ৮ কিমি। ১৯৯২ সালের পর থেকে পুরোটাই পাকা। সর্বশেষ এই সড়কটির পাকা অংশের পুনঃমেরামতের দায়িত্বে ছিল স্থানীয় সরকারের সহযোগীতায় বৈদেশিক সংস্থা ডানিডা। ২ বছর আগে তাদের প্রকল্প মেয়াদ শেষ হয়। এরপর থেকে মেরামতের আর কোন কাজ হয়নি। কিন্তু বিগত বর্ষা মৌসুমে মতিরহাট বাজার থেকে পূর্ব দিকে ৪শত মিটার সড়কের প্রায় ৬০ শতাংশ সংলগ্ন খালের জোয়ারের পানিতে ভেঙ্গে যায়। সড়কের ভেঙ্গে যাওয়া এই অংশটি দীর্ঘদিন মেরামত না করার কারণে বর্তমানে এই ব্যস্ত সড়কটি যান চলাচলের জন্য সম্পূর্ন ঝুকিঁপূণর্ হয়ে পড়েছে। ইতোমধ্যে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের উদ্যোগে প্রায় ২ লাখ টাকার বাশেঁর খুঁিট দিয়ে সড়কটি রক্ষার শেষ চেষ্টা করা হয়েছে। এছাড়াও প্রতিদিন ৩ বার জোয়ারের পানির কারণে বাশেঁর সেই খুটিঁ আর টিকছে না।
স্থানীয় ব্যবসায়ীদের দাবী আগামী বর্ষা মৌসুমের আগেই এ ৪শত মিটার সড়ক কে জোয়ারের পানি থেকে রক্ষা করার জন্য গাইড ওয়াল র্নিমাণ করা না হলে মতিরহাট বাজার সহ মাছঘাট টি উপকুলের জনপদ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে।
এ প্রসঙ্গে সাবেক চর কালকিনি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম চৌধুরী এবং বাজারের ব্যবসায়ী ইউপি সদস্য মেহেদী হাছান লিটন জানান,ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসক,জেলা পুলিশ সুপার ও কমলনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তারা ক্ষতিগ্রস্থ সড়কটি পরিদর্শন করেছেন। কিন্তু সমাধানের কোন অগ্রগতি হয়নি।
0Share