নিজস্ব প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুরে শ্বশুর বাড়ি থেকে ঈদে কোরবানির খাসি না পেয়ে ছালমা আক্তার (১৮) নামে এক গৃহবধূকে তার স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার পর থেকে স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন পলাতক রয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত ১টার দিকে লক্ষ্মীপুর পৌরসভার সমসেরাবাদ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার দালাল বাজার ডিগ্রি কলেজের ২য় বর্ষের ছাত্রী ও পৌরসভার সমসেরাবাদ এলাকার মো. আলীর মেয়ে ছালমা ছয় মাস আগে একই এলাকার আবুল খায়ের লিটনের ছেলে দর্জি ইউনুছ সওদাগরের সঙ্গে প্রেম করে বিয়ে করে। বিয়ের পর থেকে শ্বশুর বাড়ির লোকজন মোটা অংকের যৌতুকের জন্য তাকে চাপ দিতে থাকে। টাকা না পেয়ে তারা কারণে-অকারণে ছালমাকে শারীরিক ও মানুষিক নির্যাতন করতো। সম্প্রতি ইউনুছ ঈদুল আজহা উপলক্ষে ছালমাকে তার বাবার বাড়ি থেকে খাসি নিয়ে আসার জন্যে চাপ সৃষ্টি করে। এতে ছালমা অস্বীকৃতি জানায়। এ ঘটনার জের ধরে বৃহস্পতিবার রাতে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। নিহতের বাবা মো. আলী বাংলানিউজকে জানান, বিয়ের পর থেকে যৌতুকের জন্য তারা ছালমাকে নিয়মিত নির্যাতন করতো। ঈদে কোরবানির খাসি না পেয়ে তারা পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করেছে। লক্ষ্মীপুর সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জসিম উদ্দিন জানান, খবর পেয়ে শুক্রবার সকালে শ্বশুর বাড়ি থেকে ছালমার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্যে সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তার গলায় ও শরীরের বিভিন্ন অংশে জখমের চিহ্ন রয়েছে। এ ঘটনায় সদর থানায় মামলার প্রস্ততি চলছে। এদিকে, হত্যাকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে এলাকাবাসী মিছিল করেছে