রায়পুর প্রতিনিধি: রায়পুর উপজেলা ভূমি অফিস । ফুলে ফুলে সুশোভিত পুরো ভুমি অফিস প্রাঙ্গন। প্রতিদিন এখানে শিশুসহ শতশত মানুষের পদভারে মুখরিত হয়ে উঠে। বিশেষ করে শিশুদের নির্মল আনন্দদানে এটি হয়ে উঠেছে ভ্রমন পিপাসুদের নির্ভরযোগ্য এক জায়গা। এ যেন ভুমি অফিস নয়, শিশু পার্ক। আর এই পরিবর্তনের নেপথ্যের মানুষটি হলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ শামীম হোসেন।
ভূমি অফিসের চারপাশ ইটের প্রাচীর দেওয়া হয়েছে। সামনে খালি জায়গায় লাগানো হয়েছে সৌন্দর্যবর্ধক গাছ। রঙের প্রলেপ পড়ায় পুরনো ভবনটিও পেয়েছে নতুনের শোভা। আর শুধু অফিসের চেহারায় জৌলুস আসেনি, সেবার মানেও এসেছে পরিবর্তন এবং নতুনত্ব। একটা সময় ছিল যখন দালালের সাহায্য ছাড়া জমির নামজারিসহ কোনো কাজই সম্ভব হতো না।
সেখানে জমির মালিক নিজেই সব কিছু করতে পারছেন। তাঁদের জন্য ভবনের বাইরে দেয়ালে সাঁটা আছে ‘সর্বসাধারণের জন্য বিশেষ বিজ্ঞপ্তি’ নামে নোটিশ। তাতে একজন ব্যক্তি কিভাবে তাঁর মূল্যবান সম্পত্তির সব কাজ সারবেন এর নির্দেশনা দেওয়া আছে। কিভাবে ধাপে ধাপে একটি কাজ দ্রুত সম্পন্ন করা যায়, এর নির্দেশনা দিতে উপযুক্ত ব্যক্তিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। অফিসের দেয়ালে বড় অক্ষরে লেখা আছে ‘ভূমি অফিসের সকল আবেদন সরাসরি এসে এসি ল্যান্ডের কাছে জমা দিন।
এ ছাড়া সার্বক্ষণিক যেকোনো অভিযোগ জানার জন্য রয়েছে ‘অভিযোগ বাক্স’। দর্শনার্র্থী ও সেবাগ্রহিতাদের জন্য নতুন করে নির্মাণ করা হয়েছে টয়লেট। এ ছাড়া ‘সিটিজেন চার্টার’ দিয়ে কিভাবে আবেদন করতে হবে, এর বিস্তারিত বিষয়ও সেবা প্রত্যাশীদের জানানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ভুমি অফিসে ঘুরতে আসা রায়পুর আদর্শ শিশু নিকেতনের ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থী অংকন রায় ও ৩য় শ্রেণির আরিয়া আদনিন চৌধুরী বলেন, রায়পুরে কোন বেড়ানোর জায়গা নেই। এটি আমাদের শিশু পার্ক। অনেক সুন্দর।
সহকারি কমিশনার (ভুমি) শামীম হোসেন বলেন, রায়পুর উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের ভুমি অফিস গুলোকে ব্যবহার উপযোগী, সৌন্দর্যবর্ধণ, হয়রানী কমানো, মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে সচেতনতা বৃদ্ধি ও সিসি ক্যামেরার আওতায় এনে পুরো শহরটিকে বাসযোগ্য করতে নানা মুখী পদক্ষেপ চলমান রয়েছে।
0Share