নিজস্ব প্রতিনিধি: ঈদ-উল-আজহাকে সামনে রেখে লক্ষ্মীপুরে পশুহাটগুলো তে দেশি-বিদেশী গরুতে ভরে ওঠেছে। হাটগুলোতে মানুষের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেলেও আশানুরুপ বিক্রি হচ্ছে না বলে জানান বিক্রিতেরা।তাই গরু ব্যবসায়ীদের লাভের মুখ দেখার আশা এখনো দেখা দেয়নি। অথচ ঈদের বাকি আর মাত্র কয়েক ঘন্টা।
ক্রেতা-বিক্রেতারা জানান, গত ৫/৭ দিন আগে বাজারে ভারতীয় গরু কম থাকলেও বিগত ৩/৪দিন থেকে এখন বাজারে ভারতীয় প্রচুর গরু রয়েছে। লক্ষ্মীপুর পৌর গরু বাজারের একজন ক্রেতা জানান, আমাদের দেশের কৃষকরা প্রথম দিকে ক্রেতাদের আগ্রহ থাকলেও মাঝামাঝি দামে গরু ছাড়ে না, কিন্তু পরে যখন ভারতীয় গরু আসে তখন লোকসানে বিক্রি করে। এবারও তেমন হবে। এর প্রমাণ পাওয়া যায় পোদ্দার বাজারের ক্রেতা হাজী ইসমাইলের মুখে। তিনি জানান গত ২ দিন আগে গরু কেনার জন্য কমলনগরের তোরাবগঞ্জ বাজারে গিয়ে মাঝারি একটি গরু ৫০ হাজারে নিতে পারেনি। কিন্তু বুধবার লক্ষ্মীপুর থেকে তার চেয়ে বড় ভারতীয় একটি গরু কিনেছেন ৪৫ হাজারে।
জেলার বড় পশুরহাট গুলোর মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য লক্ষ্মীপুর পৌর পশুরহাট, মান্দারী, নাগেরহাট, দাসেরহাট,চন্দ্রগঞ্জ, কমলনগরের হাজিরহাট, রামগতির জমিদারহাট, রামদয়াল বাজার, বিবিরহাট বাজার, আলেকজান্ডার বাজার, রামগঞ্জের সোনাপুর কলেজগেট, মাঝিরগাঁও, নওগা, পানপাড়া, রায়পুরের নতুন বাজার, হায়দরগঞ্জ এবং কাফিলাতলী উল্লেখ্যযোগ্য । দেশের দূর-দূরান্ত থেকে বহু পাইকার ও ব্যাপারিরা এসব হাটে গরু এনে বিক্রি করে থাকেন । কমলনগরের গরু ব্যবসায়ী মোজাম্মেল হক জানান, বাজারের প্রথম দিকে ভালো দাম থাকলেও এখন যত সময় যাচ্ছে তত দাম কমে যাচ্ছ বলে জানান তিনি।
হাটগুলোতে বড় সাইজের গরু ৬০-৯০ হাজার, মাঝারি ৪০-৫০ হাজার, ছোট ২৫-৩০ হাজারে এবং ছাগল ৫-১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে বলে জানা যায়।
হাটবাজার ঘুরে দেখা গেছে, কয়েকদিন আগে হাটগুলোতে গরুর তুলনায় ছাগল বিক্রি বেশি হচ্ছিল। অনেকেই নতুন জামাইয়ের বাড়ীতে ছাগল দিতে হয়। সেই সুযোগে ছাগলের দামও বেড়ে যায়। তবে শেষ মুহূর্তে মানুষ গরুর বাজার জমে ওঠেছে।
0Share