নিজস্ব প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুরের পশুর হাটে ইজারাদারদের দৌরাত্ম্য চলে বারো মাস। কোরবানির ঈদ ঘিরে এই দৌরাত্ম্য আরো বেড়ে গেছে। ইজারাদারের অতিরিক্ত হাসিল আদায়ে হয়রানির শিকার হচ্ছেন কোরবানির পশুর ক্রেতারা। অভিযোগ উঠেছে, গরু, মহিষ, ছাগল ও ভেড়ার সরকার নির্ধারিত হাসিল থাকলেও ইজারাদার ক্রেতার কাছ থেকে আদায় করছেন চার-পাঁচ গুণ। কারো কাছ থেকে পশুর দাম অনুযায়ী ১০ গুণেরও বেশি হাসিল আদায় করা হচ্ছে।অনেকে এটা কে নৈরাজ্য বলে দাবি করেছেন।
টোলঘরে (হাসিল) বা হাটের কোনো এক জায়গায় জেলা প্রশাসক নির্ধারিত পশু বিক্রির হাসিলের পরিমাণ উল্লেখ করে তালিকা টাঙানোর বিধান থাকলেও সেই তালিকা কোনো হাট-বাজারের কোথাও খুঁজে পাওয়া যায়নি। ফলে ক্রেতারা জানেন না সরকার নির্ধারিত হাসিল কত। এ ছাড়া হাসিল নিয়ন্ত্রণে জেলা বা উপজেলা প্রশাসনের তদারকি না থাকায় ইজারাদাররা তাঁদের ইচ্ছানুযায়ী হাসিল আদায় করেন।
বিভিন্ন বাজার ঘুরে লক্ষ্মীপুরটোয়েন্টিফোরের রায়পুর,রামগঞ্জ,রামগতি এবং কমলনগর উপজেলা প্রতিনিধিগণ জানান, কোনো কোনো হাটে খাজনা আদায়ের জন্য কর্মী বাহিনী মোতায়েন দেখা গেছে।
একাধিক হাট ঘুরে দেখা গেছে, সরকারি নির্দেশনা থাকলেও জেলার কোনো হাটেই টাঙানো হয়নি টোল আদায়ের তালিকা।লক্ষ্মীপুরের বড় পশুরহাট গুলোর মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য লক্ষ্মীপুর পৌর পশুরহাট, মান্দারী, নাগেরহাট, দাসেরহাট,চন্দ্রগঞ্জ, কমলনগরের হাজিরহাট, রামগতির জমিদারহাট, রামদয়াল বাজার, বিবিরহাট বাজার, আলেকজান্ডার বাজার, রামগঞ্জের সোনাপুর কলেজগেট, মাঝিরগাঁও, নওগা, পানপাড়া, রায়পুরের নতুন বাজার, হায়দরগঞ্জ এবং কাফিলাতলী উল্লেখ্যযোগ্য । সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, জেলা প্রশাসনের নির্ধারণ করে দেওয়া টোলের কোনো তালিকা নেই। উল্টো গরুপ্রতি ৫০০ থেকে কয়েক হাজার এবং ছাগলপ্রতি ৫০০ থেকে হাজার টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে ইজারাদারদের বিরুদ্ধে।
জানা যায়, জেলার প্রতিটি পশুর হাটে গরু-মহিষপ্রতি সর্বোচ্চ ২০০ থেকে আড়াই শ টাকা এবং ছাগল-ভেড়াপ্রতি ৭০-৮০ টাকা ইজারাদারদের জন্য টোল (খাজনা) নির্ধারণ করে দিয়েছে জেলা প্রশাসন। সেই সঙ্গে প্রতিটি হাটে টোলের টাকা উল্লেখ করে তালিকা টাঙানোর জন্য সরকারি নির্দেশ থাকলেও কোনো হাটেই তা টাঙানো হয়নি। সেই সুযোগে প্রতিটি হাটেই ইচ্ছে মাফিক হাসিল আদায় করছে ইজারাদারদের আদায়কারীরা। একাধিক ক্রেতা অভিযোগ করে জানান, হাটে টোল আদায়ের জন্য কর্মী বাহিনী নিয়োগ দিয়েছেন ইজারাদার। তারা জোর করে দুই থেকে তিন গুণ বেশি টোল আদায় করছে। জানতে চাইলে হাটের ৩ জন ইজারাদারের সাথে কথা বলে এ বিষয়ে কোন উত্তর নেয়া সম্ভব হয়নি। তবে কয়েকজন ক্রেতা লক্ষ্মীপুরটোয়েন্টিফোরের কে জানান পুরো েজেলার সবগুলো গুরু বাজারের ইজাড়াদারগণ স্থানীয় প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতা তাই তাদের বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস সাধারণ ক্রেতাদের নেই।
তবে হাসিল টোলে ক্রেতাদের এ সকল অভিযোগ থাকলেও প্রশাসনের কোন বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
0Share