নিজস্ব প্রতিনিধিঃ আজ ১৬ সেপ্টেম্বর যোহরের নামাজের সময় লক্ষ্মীপুর শহর যেন ভিন্ন কোন মুসলিম দেশের শহরে পরিণত হয়েছে। মসজিদে যোহরের নামাজের জামাত শুরুর আগেই পুরো জেলা শহরের প্রায় সবগুলো দোকান বন্ধ হয়ে যায়। মুসলিম ব্যবসায়ী
ভাইয়েরা সবাই নামাজ পড়তে দলবদ্ধ হয়ে ছুটে গেছেন মসজিদে। তাদের ভাষায় এ যেন এক ভিন্ন অনুভুতি, ভিন্ন লক্ষ্মীপুর!
রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় লক্ষ্মীপুর পৌর মেয়র নামাজের সময় শহরের সকল দোকানপাট বন্ধ রাখার আহবান জানিয়ে মাইকিং করান। সোমবার জোহর থেকে এ নিয়ম চালু হয়। লক্ষ্মীপুর পৌর শহরে প্রতি ওয়াক্ত নামাজের সময় সকল ধরনের দোকানপাট বন্ধ ঘোষণার পর থেকে খুশি প্রকৃত মুসল্লিরা। মেয়রের এমন সিদ্ধান্তের পর সোমবার জোহর থেকে বিভিন্ন মসজিদে মুসল্লিদের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। নামাজের সময় হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের দোকানপাঠ ও বন্ধ দেখা গেছে। অন্যদিকে পুরুষের পাশাপাশি মহিলাদের জন্য লক্ষ্মীপুর চক বাজার জামে মসজিদের নিচ তলায় নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) জোহর,আছর এবং মাগরিবের নামাজের সময় লক্ষ্মীপুর পৌর শহরের বিভিন্ন স্থানের অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ থাকতে দেখা যায়। এ সময় শহরের সবগুলো মসজিদ মুসল্লিদের ভীড়ে কানায় কানায় ভরে যায়।
এদিকে লক্ষ্মীপুর পৌর মেয়র আবু তাহেরের এমন সিদ্ধান্ত কে স্বাগত জানিয়েছেন সর্বস্তরের মানুষ। ব্যবসায়ীরা জানান, নামাজের সময় দোকানপাট খোলা থাকলে দোকানী নিজেও অনেক সময় নামাজ আদায় করতে পারে না। তাই মেয়রের এমন সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের ইতিহাসে বিরল।
রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় নামাজের সময় লক্ষ্মীপুর শহরের দোকানপাঠ বন্ধ রাখার ঘোষণা লক্ষ্মীপুরটোয়েণ্টিফোরে প্রকাশিত হওয়ার পর তা ফেসবুক, টুইটার হয়ে সবগুলো সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ছোট এ সংবাদটি হাজার হাজার মানুষ ফেসবুকে শেয়ার করে।১২ ঘন্টার ব্যবধানে সংবাদটি লক্ষ্মীপুরটোয়েন্টিফোরের মূল সাইট থেকে ২.৫ লাখ বার পড়া হয় এবং প্রায় ৫৮ হাজার বার ফেসবুকে শেয়ার হয়।
একই সময়ে তা লক্ষ্মীপুরটোয়েন্টিফোরের ফেসবুক ফ্যান পেইজ থেকে পড়া হয় ১লাখ ১০ হাজার ৯শ ৫৬ বার ১২১ টি কমেন্ট পড়ে। সকল ব্যবহারকারিই এ ঘোষণাকে যুগান্তকারি বলে মেয়রের প্রশংসা করেন। অনেক ব্যবহারকারি মেয়রকে দোয়াও করেন।
অন্যদিকে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এবং জেলা যুবলীগ ও লক্ষ্মীপুর বণিক সমিতির সভাপতি একেএম সালাহ্ উদ্দিন টিপু জানান, মেয়রের এমন সিদ্ধান্তকে বণিক সমিতিসহ সর্বস্তরের মানুষ স্বাগত জানিয়েছে। তিনি আরো জানান, নামায আদায়ে উৎসাহিত করতে বণিক সমিতির পক্ষ থেকে বাজার এলাকায় ক্যাম্পিং করা হবে। তিনি হিন্দু ভাইদের সহযোগিতা ও কামনা করেন।
একই সময়ে তা লক্ষ্মীপুরটোয়েন্টিফোরের ফেসবুক ফ্যান পেইজ থেকে পড়া হয় ১লাখ ১০ হাজার ৯শ ৫৬ বার ১২১ টি কমেন্ট পড়ে। সকল ব্যবহারকারিই এ ঘোষণাকে যুগান্তকারি বলে মেয়রের প্রশংসা করেন। অনেক ব্যবহারকারি মেয়রকে দোয়াও করেন।
অন্যদিকে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এবং জেলা যুবলীগ ও লক্ষ্মীপুর বণিক সমিতির সভাপতি একেএম সালাহ্ উদ্দিন টিপু জানান, মেয়রের এমন সিদ্ধান্তকে বণিক সমিতিসহ সর্বস্তরের মানুষ স্বাগত জানিয়েছে। তিনি আরো জানান, নামায আদায়ে উৎসাহিত করতে বণিক সমিতির পক্ষ থেকে বাজার এলাকায় ক্যাম্পিং করা হবে। তিনি হিন্দু ভাইদের সহযোগিতা ও কামনা করেন।
0Share