নিজস্ব প্রতিনিধি, রামগতি:
লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে প্রায় ২০ টি দোকান ও মালামাল পুড়ে ভস্মীভূত হয়েছে। এতে প্রায় ৭০ থেকে ৮০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি ব্যবসায়ীদের।
মঙ্গলবার সকাল ৬টা ১০এর দিকে উপজেলা রামগতি বাজারের মীর রোডস্থ মাসুদ নামের এক ব্যক্তির জ্বালানি তেল ও সিলিন্ডার গ্যাসের দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে।
পুড়ে যাওয়া দোকানগুলো মাসুদের তেল-গ্যাসের দোকান, ইব্রাহিম খলিল ও নুর উদ্দিনের মুদি দোকান, উত্তম সাহা, মো. রাশেদ ও মো. রাশেদুলের হার্ডওযার দোকান, আবদুস জাহেরের মোল্লা হোটেল, মাইন উদ্দিন, ছারোয়ার ও আবদুল বাচেতের ঔষুদের দোকান , মা ভেটেনারি, আমিরের জুতার দোকান, হেলালের দোকান, নাহার মঞ্জিল ও মা স্টুডিও, ধনু, জামাল উদ্দিন ও দিদারের তরকারি দোকান, যতনের সেলুন ও মাও. আবদুস জাহেরের কাজী অফিস।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, তেলের দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত হওয়ায় উপস্থিত লোকজন চেষ্টা করেও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি। অন্যদিকে ঘটনাস্থল থেকে ফায়ারসার্ভিস স্টেশনের দূরত্ব প্রায় ২০ কিলোমিটার হওয়ায় ঘটনাস্থলে ফায়ারসার্ভিস সদস্যরা পৌঁছাতে দেরী হয়েছে। ফলে আগুনের ভয়াবহতা বৃদ্ধি পেয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় ব্যবসায়ী ঝলক সাহা বলেন, ভোর ৬ টা ১০ মিনিটের দিকে একটি তেলের দোকানে আগুন লাগে। মুহুর্তে দাউদাউ করে আগুনের লেলিহান শিখা আশপাশের দোকানগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। আগুনের তীব্রতা এতো বেশি ছিল যে, উপস্থিত লোকজন চেষ্টা চালিয়েও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি। ঘটনার প্রায় ৪০ মিনিট পর প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরের আলেকজান্ডার থেকে ফায়ারসার্ভিসের সদস্যরা আগুন নেভাতে আসে। কিন্তু এরই মধ্যে অন্তত ১৫ টি দোকান পুরোপুরি ভষ্মিভূত এবং ৫ টি দোকানের আংশিক ভষ্মিভূত হয়। সকাল সাড়ে ৭ টার দিকে ফায়ারসার্ভিস কর্মীরা আগুন নেভাতে সক্ষম হয়েছে।
স্থানীয় ব্যবসায়ী বিটুল সাহা বলেন,, রামগতি বাজার একটি বড় এবং এতিহ্যবাহী বাজার। আশপাশেও বিবিরহাট বাজার, টাংকি বাজারসহ ছোটবড় বেশকিছু বাজার রয়েছে। প্রায় সময়ে এসব বাজারে আগুনের ঘটনা ঘটে। ফায়ারসার্ভিস আসার আগেই সবকিছু পুড়ে যায়। তাই রামগতি বাজারের আশেপাশে একটি ফায়ারসার্ভিস স্টেশন স্থাপন জরুরি হয়ে পড়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত মুদি ব্যাবসায়ী নুর উদ্দিন বলেন, আমার দোকানে প্রায় ১০ লাখ টাকার মালামাল ছিল। আগুনে সবকিছু পুড়ে গেছে। ব্যাংক ঋণ নিয়ে আমি ব্যবসা করি। আমার ঘুরে দাঁড়ানোর কোন পথ নেই।
তেলের দোকানদার মাসুদ আলম বলেন, ১৫ লাখ টাকার মালামাল ছিল। আমি সর্বশান্ত হয়ে গেছি। আগুন আমাকে ফকির করে দিয়েছে।
রামগতি ফায়ারসার্ভিসের ওয়্যার হাউস ইন্সপেক্টর জাকির হোসেন বলেন, ১৮ টি দোকান পরিপূর্ণ পুড়ে গেছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করা হচ্ছে।
রামগতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ আমজাদ হোসেন বলেন, ফায়ারসার্ভিস এবং পিআইও অফিসের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের তালিকা তৈরী করার জন্য বলা হয়েছে।
28Share