নিজস্ব প্রতিনিধি: ২১ জুন তারিখে কমলনগরের চর ফলকন এবং চেয়ারম্যান আশরাফ কে নিয়ে লক্ষ্মীপুরটোয়েন্টিফোর এবং বাংলানিউজ একটি সংবাদ প্রকাশ করে। সংবাদটির ২য় কিস্তি আজ প্রকাশিত হল।
গ্রামে কলেজ দুরে থাক নিন্ম মাধ্যমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত নেই; অজ্ঞতার অন্ধকারেও যৌতুক,বাল্য বিবাহ,নারী নির্যাতন সহনীয় পর্যায়ে নামিয়ে আনতে পেরেছেন প্রতিশ্রুতিশীল একজন সমাজকর্মী। যে মেঘনার উপকুল চোর-ডাকাত আর জলদস্যুদের অভয়ারন্য ছিল; সে মেঘনার কমলনগর উপকূলে সন্ত্রাসী হামলায় গুরুতর আহত হয়েও দেশ ও জাতির স্বার্থে জীবনবাজি রেখে উদ্যোগ নেন প্রজনন মৌসুমে ডিমওয়ালা মা ইলিশ মাছ শিকার বন্ধের অভিযান সফল করতে। রক্ত দিয়ে তিনি অভিযান সফলে সহায়তা করেছেন বলেই প্রচুর ইলিশ পেয়ে মহাজনের দাদন ও ঋণের যাঁতাকলে বন্ধী জেলেরা হাসি নিয়ে বাড়ি ফিরতে পেরেছে।
নিয়মিত গ্রাম আদালতে দেওয়ানী ও ফৌজদারী স্থানীয় অপরাধের বিরোধ মিমাংসায় সালিশ, জায়গা-জমি মাপঝোপ করে বিরোধ নিস্পত্তি করা হয়। তাই সালিশ বাণিজ্য বন্ধ, থানা ও আদালতে মামলা দায়ের করা এমনকি চর ফলকন গ্রামের অপরাধপ্রবণতা কমে গেছে।
একান্ত আলাপচারিতায় চেয়ারম্যান আশরাফ বলেন,এলাকার ্আইন-শৃঙ্খলা স্বাভাবিক ও চুরি-ডাকাতি, নারী নির্যাতনসহ বিভিন্ন অপরাধ সহনীয় পর্যায়ে রাখার জন্য স্থানীয় বিরোধ মিমাংসা, গ্রাম আদালত পরিচালনা সকল বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নিচ্ছেন। উন্নয়নমূলক কাজে স্বচ্ছতা- জবাদিহিতা নিশ্চিত করা ও জনগণের সম্পৃক্ততা বাড়ানোর চেষ্টা করে যাচ্ছেন।
ইউনিয়ন পরিষদের অনুকুলে বিভিন্ন উন্নয়ন বরাদ্ধে অপচয় কমে গেছে। তাই গ্রামের যে সড়ক দিয়ে যান চলাচল দুরে থাক মানুষ হাটতে পারতো না; এখন সেসব রাস্তায় সিএনজি,মোটর সাইকেল চালকদের পরিবহন ব্যবসা রমরমা। গ্রামের হাট বাজারে যেখানে মানুষ মলমুত্র ত্যাগ করত; এখন সেখানে ব্যবসা বাণিজ্য চলে হরদম। হাটে যানযট লেগেছে, ট্রাফিক নেই। চেয়ারম্যান নিজেই ট্রাফিকের মতো যানযট নিরসনের কাজ শুরু করে দেন। পাবলিক টয়লেট ব্যবহার অনুপযোগী,জনগণের ভোগান্তি লাঘবে সুইপার পাওয়া না গেলে নিজেই তার পরিষ্কার করে ব্যবহার উপযোগী করে দেন নিবেদিতপ্রাণ এই সমাজকর্মী।
যে ভবনগুলো গ্রামের মানুষের কাছে পরিত্যক্ত দালান মনে হতো; সেসব স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র, কমিউনিটি ক্লিনিকে স্বাস্থ্য ও পরিকল্পিত পরিবার গঠন বিষয়ক পরামর্শের জন্য সেবা গ্রহীতাদের লাইনে দাড়াতে হয়।
0Share