রায়পুর: রায়পুর এলএম পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের চার শিক্ষক ও ১২ ছাত্রের ওপর হামলার প্রতিবাদে ৪৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করেছে। বৃস্পতিবার দুপুর আড়াইটা থেকে তারা রায়পুর-লক্ষ্মীপুর-চাঁদপুর সড়কের ট্রাফিক মোড়ে এ কর্মসূচি পালন করেন। শিক্ষক নেতারা বলেন, বখাটেদের বিরুদ্ধে মামলা করার ৫দিন পার হলেও পুলিশ প্রশাসন এখনও তাদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি। এতে শিক্ষক সমাজে আতঙ্ক বিরাজ করছে। তাদের গ্রেপ্তার করা না হলে ৫ বছরের জন্য স্থানীয় বয়াতী ও সর্দারবাড়ীর ছেলেমেয়েদের বিদ্যালয়ে ভর্তি নিষিদ্ধসহ বিভিন্ন কর্মসূচি দেয়ার ঘোষণা দেন শিক্ষকরা। এদিকে, গত তিনদিন ধরে সব বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী বুকে কালোব্যাজ ধারণ, বিক্ষোভ, সমাবেশ করে প্রতিবাদ জানিয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে স্মারকলিপি দেয়া হয়েছে। এলএম পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে ২০টি বিদ্যালয় ও ২৬টি মাদ্রাসার সুপার ও প্রধান শিক্ষকদের নিয়ে সমাবেশ হয়। মানববন্ধনে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন- জেলা শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মনঞ্জুর কাদের, রায়পুর শিক্ষক সমিতির সভাপতি শামছুত্তাওহীদ, সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম ভূইয়া, প্রধান শিক্ষক হাবিব আহম্মেদ পাটোয়ারী, মোহাম্মদ আলী পাটোয়ারী, আবুল কালাম, মোহাম্মদ আলী পাটোয়ারী, উত্তম কূমার রায়, শাহআলম প্রমূখ। রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুপক কুমার সাহা বলেন, মামলার পর থেকে আসামিদের গেপ্তারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। পলাতক থাকায় কাউকে গ্রেপ্তার করা যাচ্ছেনা। প্রসঙ্গত, গত রোববার দুপুর ২টায় বিদ্যালয় চলাকালীন অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র শিশির ও দশম শ্রেণীর ইকবালকে মোবাইল কেনার ঘটনায় সর্দার বাড়ির আবুল হাসেমের ছেলে শিপন মারধর করে। পরে প্রধান শিক্ষক দুই ছাত্রকে কয়েকটি বেত্রাঘাত দিয়ে মীমাংসা করে দেয়। স্কুল ছুটির পর শিপন আবারও তার সহযোগি ইকবাল, নুরু, আরমান, জামাল, কামাল, রাজু ও রিগানসহ কয়েকজনকে নিয়ে ইকবাল ও শিশিরকে মারধর করে। শিপনের হামলার হাত থেকে বাঁচতে দুই ছাত্র লাইব্রেরিতে গিয়ে আশ্রয় নেয়। এসময় শিক্ষক ও অন্য ছাত্ররা বাধা দিতে গেলে প্রায় ১৫ আহত হন। তখন পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল গিয়ে স্থানীয় লোকজনসহ পরিস্থিতি শান্ত করে।
0Share