লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার তোরাবগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের আসন্ন নির্বাচনের এক প্রস্তুতিমূলক সভায় চেয়ারম্যান প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান ফয়সাল আহমেদ রতনের পক্ষে প্রায় হাজার নেতাকর্মী উপস্থিত হয়ে তাকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করার জন্য সমর্থন দিয়েছে। ১৭ মার্চ বুববার বিকেলে তোরাবগঞ্জস্থ এলাকায় প্রস্তুতিমূলক এক মতবিনিমিয় সভায় এ সমর্থন প্রদান করা হয়। সভায় আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের বিভিন্ন ওয়ার্ডের প্রায় হাজার নেতাকর্মীসহ স্থানীয় এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ বাপ্পী, ভাইস চেয়ারম্যান ওমর ফারুক সাগরসহ প্রমূখ।
সভায় বক্তারা বলেন, ফয়সল আহমেদ রতনের পরিবারের মানেই বঙ্গবন্ধু প্রেমি পরিবার। তাদের রক্ত মাংসে মিশে আছে বঙ্গবন্ধু ও আওয়ামীলীগের আর্দশ। তার দাদা মরহুম ফজলুল হক চেয়ারম্যান, বাবা সেলিম চেয়ারম্যানের মতো ফয়সল আহমেদ রতনও মানুষের সেবা করে সর্বাধিক জনপ্রিয়। ইতোমধ্যে তার জনপ্রিয়তা এলাকার বাহিরে পুরো জেলায় পৌঁছে গেছে। এমন একজন আর্দশবান ব্যক্তিকে চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী করতে তারা সর্বোচ্চ ত্যাগ শিকার করবেন।
অন্যদিকে জানা যায়, প্রথম ধাপের ইউপি নির্বাচনে তোরাবগঞ্জ ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন পেয়েছেন মীর্জা আশ্রাফুল আলম রাসেল। এবং স্বতন্ত্র পদে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দাখিল করবেন ফয়সল আহমেদ রতন। রতন স্থানীয়দের মাঝে অত্যন্ত ভদ্র এবং আর্দশবান চেয়ারম্যান হিসেবে সুপরিচিত।
তিনি তোরাবগঞ্জ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মৃত মহিউদ্দিন আহমেদ সেলিমের ছেলে। তার দাদাও দীর্ঘ বছর বৃহত্তর চর কাদিরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন।
তোরাবগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদে কয়েক যুগ ধরে ফয়সাল আহমেদ রতনদের পরিবার নেতৃত্ব দিয়ে আসছে। এ পরিবার জনগণের কাছাকাছি থেকে আস্থা অর্জন করেছে। রতন গত দুইবার সফলভাবে চেয়ারম্যান হয়ে স্বচ্ছতার সাথে পরিষদ পরিচালনা করেছে। বর্তমানেও তিনি চেয়ারম্যানের দায়িত্বে রয়েছে।
জনগণের সুখে দুঃখে পাশে থেকে সহযোগীতা করেছে এ চেয়ারম্যান। বিশ্ব মহামারী করোনাকালীন সময় মানুষ যখন ঘরবন্দি ছিলেন রতন তখন নিজ উদ্যোগে বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিয়েছে।
এছাড়াও ইউনিয়ন পরিষদের বরাদ্দ প্রত্যেক সদস্যদের মাঝে সুষম বন্টন করে একটি মডেল ইউনিয়নে রূপান্তরিত করেছে তোরাবগঞ্জকে। এজন্য দল বিবেচনা না করে রতনকে আবারো চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চায় ইউনিয়নবাসী।
0Share