লক্ষ্মীপুর জেলা যুবলীগের বর্ধিত সভাকে কেন্দ্র করে জেলা যুবলীগের সভাপতি একেএম সালাহ উদ্দিন টিপু এবং সাবেক ছাত্রনেতা সৈয়দ নুরুল আজিম বাবরের সমর্থকদের মাঝে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে কমপক্ষে ১২জন নেতাকর্মী আহত হয়ে সদর হাসপাতাল ও ক্লিনিকে চিকিৎসা নিয়েছেন। মঙ্গলবার দুপুরে শহরের মেঘনা রোড এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ, হাসপাতাল ও দলীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার দুপুর ২টায় শহরের একটি চাইনিজ রেস্টুরেন্টে জেলা যুবলীগের বর্ধিত সভার আয়োজন করা হয়। ওই বর্ধিত সভায় কেন্দ্রীয় যুবলীগের নেতৃবৃন্দ অংশ নেয়। কেন্দ্রীয় নেতাদের স্বাগত ও নিজেদের অবস্থান জানান দেয়ার জন্য সকাল থেকে শহরের বিভিন্ন সড়কে অবস্থান নেন যুবলীগের বিভিন্ন গ্রুপের নেতাকর্মীরা। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মেঘনা রোড এলাকায় জেলা যুবলীগের সভাপতি একেএম সালাহউদ্দিন টিপুর সমর্থকরা ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের স্বাগত জানাতে স্লোগান দেয়। একই সময় সাবেক জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদ সৈয়দ নুরুল আজিম বাবরের সমর্থকরাও একই এলাকায় মিছিল শুরু করে। এতে এক পর্যায়ে দু-পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
এতে জেলা যুবলীগের সভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম সালাউদ্দিন টিপু, সৈয়দ নুরুল আজিম বাবর, মাসুম (২৫), আবদুল মতিন (৫৮), লিটন (৩০), আবুল কাশেম (৩৫), তারেক (১৯), সৌরভ (১৭), জামাল উদ্দিন (৬০), খোরশেদ আলম (৬০), মো. জামালউদ্দিন (৪০), মামুন (২৫), সবুজ (২৯), হাসেম (৫৭) আহত হন।
হাসপাতাল বেডে থাকা অবস্থায় সৈয়দ নুরুল আজিম বাবর এ হামলার জন্য জেলা যুবলীগের সভাপতি একেএম সালাহউদ্দিন টিপুকে দায়ী করেছেন । কিন্ত একেএম সালাহউদ্দিন টিপু বলেন, জেলা যুবলীগের বর্ধিত সভাকে ব্যাঘাত ঘটনার লক্ষ্যে আমার ও নেতাকর্মীদের ওপর পরিকল্পিতভাবে হামলা করা হয়েছে। এসময় আমার ব্যবহৃত গাড়ি ভাংচুরসহ ১০ নেতাকর্মী আহত হয়েছে।সদর হাসপাতালের কর্মকর্তা ডা. আনোয়ার হোসেন জানান, উপজেলা চেয়ারম্যানসহ ১২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
1.2KShare