কামরুল হাসান হৃদয় | অবসরে প্রকৃতির কোলে সময় কাটানো সবসময়ই মনকে প্রশান্ত করে। লক্ষ্মীপুর জেলা সেই প্রেক্ষাপটে এক অপরূপ গন্তব্য, যেখানে নদী, চর, দীঘি আর পার্কের মিলনে পাওয়া যায় ঘুরে বেড়ানোর অপার আনন্দ। যারা বিভিন্ন সময়ে দূর জেলা থেকে আসছেন, তাদের থাকার ও খাওয়ার ব্যবস্থাও রয়েছে শহরের কাছাকাছি এলাকাগুলোতে।
দ্বীপ চর আব্দুল্লাহ
মেঘনার বুকে ভাসমান এক ছোট্ট দ্বীপ চর আব্দুল্লাহ। নদী আর সবুজের মেলবন্ধনে পূর্ণ এই জায়গাটি সূর্যাস্তের সময় হয়ে ওঠে রঙিন, অপূর্ব এক সৌন্দর্যগাথা। স্থানীয় খাবারের হোটেলও রয়েছে এখানে। এখানে যেতে হলে ঝুমুর বা দক্ষিণ তেমুহনি থেকে বাস বা সিএনজিতে আলেকজান্ডার মেঘনা বিচ যেতে হয়, সেখান থেকে নদীর পাড়ে নৌকা বা স্পিডবোটে চরে চর আব্দুল্লাহ পৌঁছানো যায়। আলেকজান্ডার মেঘনা বিচ পরিবার বা বন্ধুদের নিয়ে পিকনিক করার জন্য উপযোগী। নদীর ধারে সাদা বালুকার প্রান্তরে বসে সময় কাটানো যায় আরাম করে। যেতে হলে ঝুমুর বা দক্ষিণ তেমুহনি থেকে বাস বা সিএনজিতে সরাসরি পৌঁছানো যায়।
মাতাব্বরহাট
কমলনগরের কাছে মাতাব্বরহাট নদীপাড়ের আড্ডা ও পিকনিক স্পট হিসেবে পরিচিত। এখানে পৌঁছাতে হলে হাজির হাটে নেমে অটো, রিকশা বা সিএনজি নিতে হয়। নাছিরগঞ্জও ঈদের ছুটিতে একটি চমৎকার গন্তব্য হতে পারে। করইতলা বা তোরাবগঞ্জ হয়ে অটোতে সহজেই যাওয়া যায়।
সাজু মোল্লার ঘাট ও রাহুল ঘাট
রায়পুর উপজেলার সাজু মোল্লার ঘাট ও রাহুল ঘাট নদীর ধারে বসে বিকেলের হাওয়া খাওয়ার জন্য দারুণ জায়গা। রিকশা বা সিএনজিতে সহজেই পৌঁছানো যায়।
খোয়াসাগর দীঘি
ঐতিহ্যবাহী খোয়াসাগর দীঘি ও পাশেই অবস্থিত দালাল বাজার জমিদার বাড়ি স্থানীয় ইতিহাস ও প্রকৃতির মেলবন্ধনে উপভোগ্য স্থান। পায়ে হাঁটলেই এক স্থান থেকে অন্যটিতে যাওয়া যায়।
থাকার জন্য লক্ষ্মীপুর শহরে রয়েছে কয়েকটি হোটেল ও গেস্ট হাউজ রয়েছে কয়েকটি রেস্টুরেন্টও।
লক্ষ্মীপুরের জেলা প্রশাসক রাজীব কুমার সরকার বলেন, পর্যটনবান্ধব পরিবেশ তৈরিতে জেলা প্রশাসন সবসময় কাজ করে যাচ্ছে।
0Share