জুনায়েদ আহম্মেদ: করোনা মহামারির কারণে প্রবাস থেকে ফেরত আসেন দেলোয়ার হোসেন। স্বপ্ন ছিল পরিবারকে নিয়ে কিছু করার। স্বচ্ছলতার আশায় স্কুল পড়ুয়া ভাগিনা আকাশকে সাথে করে দুই হাজার বাচ্চা নিয়ে গড়ে তোলেন মুরগির খামার। নাম দেন বিসমিল্লাহ পোল্ট্রি ফার্ম। বৃহস্পতিবার ভোররাতে আগুনে পুড়ে গেল মামা ভাগিনার সেই খামারটি। ভেঙ্গে গেল তাদের স্বপ্ন। লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়নের নন্দীগ্রাম এলাকার নাগেরহাট ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা সংলগ্ন বিসমিল্লাহ পোল্ট্রি ফার্মে এঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী আকাশ জানায়, তার মামা দেলোয়ার হোসেন প্রবাস থেকে আসার পর তাকে নিয়ে মাস তিনেক আগে দুই হাজার মুরগির খামারটি গড়ে তোলেন। প্রায় দুই লক্ষ টাকা খরচ করে মুরগির শেড নির্মাণ করেন তারা। পরে রামগঞ্জ উপজেলার পানপাড়া বাজারের আল বারাকা পোল্ট্রি ফিডস থেকে বাকিতে বাচ্চা ও ঔষধ আনেন। কিন্তু খামার দেয়ার শুরুতেই পাশ্ববর্তী একটি ক্লাবের কয়েক সদস্যের সাথে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তাদের ঝগড়া হয়। এতে রাতে দুইজন খামারে আগুন লাগিয়ে দিলে তাদেরকে আটক করা হলে তারা ক্ষমা চায়। একই কায়দায় ভোররাতে খামারে আগুন লাগিয়ে দিলে খামারের চর্তুপাশের নেট, প্লাস্টিক, প্রায় ৪০০ বাচ্চা আগুনে জলসে যায়। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় আগুন নিভানো সম্ভব হয়।
ঘটনা জানতে চাইলে দেলোয়ার হোসেন কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। এসময় তিনি দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও সরকারী সহায়তার দাবি জানান।
স্থানীয় ইউপি সদস্য রুহুল আমিন জানালেন, এর আগেও খামারটিতে আগুন দেয়ার সময় দুইজনকে আটক করা হয়। পরে তারা ক্ষমা চাইলে তাদেরকে এলাকায় না থাকার শর্তে ছেড়ে দেয়া হয়। এবার আবার কারা আগুন লাগিয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মাসুম বলেন, খামারে আগুন দেয়ার বিষয়টি আমাকে কেউ জানায়নি। স্থানীয় চেয়ারম্যানের কাছ থেকে বিষয়টি জেনে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানালেন তিনি।
0Share