লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলায় ইটভাটার চিমনি ধসে আপন দুই ভাই নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ৮ জন শ্রমিক। রোববার বিকেলে উপজেলার ভোলাকোট ইউনিয়নের দেহলা গ্রামের মদিনা ব্রিকসে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন,কমলনগর উপজেলার চরজগবন্ধু গ্রামের আলতাফ মাঝির ছেলে বেলাল হোসেন (৩২) ও ফারুক হোসেন (২০)। মারাত্মক আহতবস্থায় রাকিব হোসেন নামের আরেকজনকে লক্ষ্মীপুর সদর হসপিটালে নিয়ে গেলে কর্ত্যব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার সময় ভাটার অন্য শ্রমিকরা বাধা দেন। বিক্ষোভ করে ইটভাটার মালিক আমির হোসেন ডিপজলের বিচার দাবি করেন তারা। তবে ঘটনার পর দ্রুত পালিয়ে যান ডিপজল।
খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাপ্তি চাকমা ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ঘটনার সময় ইটভাটার উঁচু চিমনি ধসে পড়ে। এ সময় কর্মরত বেলাল ও ফারুকসহ ১০ জন শ্রমিক চিমনির নিচে চাপা পড়েন। বেলাল ও ফারুক ঘটনাস্থলেই মারা যান। ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের সহযোগিতায় আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ঘটনাস্থল থেকে মরদেহগুলো আনার সময় শ্রমিকরা ভাটা মালিকের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ করেন। পুলিশের হস্তক্ষেপে বিক্ষোভ বন্ধ করে দেন শ্রমিকরা। দুর্ঘটনার পর পরই ভাটার মালিক পালিয়ে গেছেন।
রামগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) কার্তিক চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। জেলা প্রশাসক ও ইউএনওসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাটি সম্পর্কে অবগত রয়েছেন। এ ঘটনায় থানায় এখনও কোনো লিখিত অভিযোগ করা হয়নি। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্তে ও লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ ইটভাটায় দুই বছর আগে একইভাবে চুলার দেয়াল ধসে পড়ে ৫ জন আহত হন। উপজেলার ভোলাকোট ইউনিয়নে ১১টি ইটভাটা রয়েছে। অবৈধভাবে এসব ইটভাটা গড়ে ওঠা এবং বন্ধ না করায় সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে দায়ী করছেন স্থানীয়রা।
0Share