লক্ষ্মীপুরটোয়েন্টিফোর: স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় ফেনী নোয়াখালী লক্ষীপুরে দিশেহারা পানিবন্দি মানুষ। নদী দিবসে এ তিন জেলায় ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন ও স্থায়ী সমাধান নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আলোচনা সভা শেষে বন্যার্ত মানুষের কল্যাণে বিশেষ অবদান রাখার জন্য বিভিন্ন সেচ্ছাসেবী সংগঠন, প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিদের মাঝে সম্মাননা স্মারক হিসেবে ক্রেষ্ট প্রদান করা হয়। এসময় লক্ষ্মীপুর ও নোয়াখালী জেলার বন্যা সমস্যার কারণ খুঁজে দিতে বিশেষ অবদান রাখায় বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবি ও কমলনগর-রামগতি বাচাঁও মঞ্চের আহ্বায়ক এডভোকেট আবদুস সাত্তার পালোয়ান এবং রামগঞ্জ ব্লাড ডোনার্স ক্লাবের সভাপতি মো: মাহামুদ ফারুককে সম্মাননা প্রদান করা হয়।
এ উপলক্ষে মঙ্গলবার ( ২০-সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি’তে আলোচনা সভার আয়োজন করে পরিবেশ সংগঠন ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ ও রিভার এন্ড সোস্যাল ডেভেলপমেন্ট।
জাতীয় মানবাধিকার সোসাইটির চেয়ারম্যান মু. নজরুল ইসলাম তামিজীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ লিভারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম।
অনুষ্ঠানের আলোচনায় অংশ নেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোঃ জসিম উদ্দিন, স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ও সহযোগী অধ্যাপক ড. মাহমুদা পারভীন, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের একোয়াকালচার বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মীর মোহাম্মদ আলী, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবি ও কমলনগর-রামগতি বাচাঁও মঞ্চের আহ্বায়ক এডভোকেট আবদুস সাত্তার পালোয়ান, পরিবেশ ও জলবায়ু বিশেষজ্ঞ মনির হোসেন চৌধুরী, নদী ও পরিবেশ গবেষক বীর মুক্তিযোদ্ধা তোফায়েল আহমেদ, অধ্যাপক ড. বিজয় কৃষ্ণ দাস, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের জিএম সঞ্জয় কুমার দত্ত, ওয়াটার কিপার্স বাংলাদেশ গবেষণা বিভাগের প্রধান মোঃ ইকবাল ফারুক, খুলনা বৃহত্তর নোয়াখালী সমিতি সাধারন সম্পাদক মিজানুর রহমান মোল্লা এবং রিভার এন্ড সোশ্যাল ডেভেলপমেন্টের এর সাধারণ সম্পাদক মো: ইসমাইল গাজী।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেছেন, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ইপসার প্রোগ্রাম অফিসার, জহিরুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে আলোচকরা জানায়, নদী-খাল, জলাশয় দখল ও ভরাটের কারণে লক্ষ্মীপুরসহ বিভিন্ন জেলায় বন্যার পানি নামছে ধীরগতিতে। উপস্থিত বক্তারা দাবি করেন বৃহত্তর নোয়াখালীতে প্রায় ১০টি নদী এবং খাল দখল করা হয়েছে।
দখল হওয়া খাল গুলো উদ্ধার করে পানি নিষ্কাশনের সুযোগ করে দিলে দ্রুত জলবদ্ধতার সমস্যার লাঘব হবে। বক্তারা দুঃখ প্রকাশ করে বলেন আমরা কোন সরকারি- বেসরকারি ত্রাণ সহযোগিতা চাইনা। ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন ও স্থায়ী সমাধান নিয়ে নদী খাল তড়িৎ গতিতে দখল মুক্ত করে আমাদের জলাবদ্ধতা থেকে রক্ষা করুন। বক্তারা আরো বলেন এবারের বন্যা পরিস্থিতির অন্যতম কারণ বাংলাদেশকে না জানিয়ে হঠাৎ করে ভারতের পানি ছেড়ে দেয়া। বক্তারা এর তীব্র প্রতিবাদ জানান এবং সরকারকে মেরুদণ্ড শক্ত রেখে ভারতীয় পানি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে আহবান জানান।
0Share