সব কিছু
facebook lakshmipur24.com
লক্ষ্মীপুর বৃহস্পতিবার , ১লা জুন, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ , ১৮ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চলছে চিংড়ির রেণু ধরার মহোৎসব

নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চলছে চিংড়ির রেণু ধরার মহোৎসব

নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চলছে চিংড়ির রেণু ধরার মহোৎসব জেলে, শিশু ও বৃদ্ধ সবাই মশারি, নেট জাল, চাদর ও ঠেলা জাল নিয়ে চিংড়ি রেণু আহরণ করছে।

লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার মেঘনা নদী ও সংযোগ খাল থেকে সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে অবৈধভাবে মৌসুমে কোটি কোটি টাকার গলদা চিংড়ির রেণু পোনা শিকার করছে অসাধু জেলেরা। জরিমানা করেও থামানো যাচ্ছে না এসব সিন্ডিকেটের অবৈধ কার্যক্রম !!!

উপকূলীয় রামগতির মেঘনা নদীর বিভিন্ন স্থানে নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে অবৈধভাবে অবাধে চলছে গলদা-বাগদা চিংড়ির রেণু আহরণ। এ রেণু আহরণ করতে গিয়ে প্রতিনিয়তই ধ্বংস হচ্ছে হাজারো প্রজাতির মাছ ও জলজ প্রাণী। কাজটি অবৈধ হলেও প্রকাশ্যেই চলছে। যারা চিংড়ির রেনু ধরছে অবৈধ কাজ হিসেবে তাদের মধ্যে কোনো ধরনের ভীতি নেই।

এসব পোনা ধরার সময় বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পোনা ওঠে। চিংড়ির পোনা বাছাইয়ের সময় বাইলা (বেলে), সুরকা, পোয়া, পাঙাশ, বাছা, বাতাসি, পাবদাসহ ৭০টি প্রজাতির মাছের ডিম ও পোনা নষ্ট হয়ে যায়। জেলেরা শুধু বাগদা-গলদা চিংড়ির রেণু সংগ্রহ করে অন্যান্য মাছের রেণু ও জলজ প্রাণী ফেলে দিচ্ছে।

রামগতির ওসখালী, রঘুনাথপুর, ব্রীজ ঘাট, টাংকী বাজার, আলেকজান্ডার, জনতা বাজার, বড়খেরীসহ বেশ কিছু স্থানে গিয়ে চিংড়ির আহরণ ও মৎস্য প্রজাতির এ ধ্বংসলীলা দেখা যায় প্রতিবছর এপ্রিল থেকে জুলাই পর্যন্ত। অথচ প্রজনন মৌসুম থাকায় এ সময়টাতে নদীতে মাছ ধরার প্রতি রয়েছে সরকারি নিষেধাজ্ঞা।বিশাল উপকূলীয় এলাকায় প্রতিদিনই লাখ লাখ চিংড়ি পোনা আহরণ করা হচ্ছে। এতে খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট ও এ উপকূলীয় অঞ্চলের কয়েক হাজার মানুষ চিংড়ি পোনা আহরণ করেই তাদের জীবিকা নির্বাহ করছে।

মহাজনের দাদনের টাকা পরিশোধ করতে জেলেরা সব বাধা-নিষেধ অমান্য করে রেণু আহরণ করছেন ফলে দিন দিন মেঘনা নদীতে ইলিশসহ বিভিন্ন জাতের মাছের আকাল দেখা দিচ্ছে। জেলেদের থেকেও বড় লাভবান হচ্ছে দাদনদাররা, তাই তারা বিভিন্ন ঘাটে ঘাটে অর্থ খরচ করেও চালাচ্ছে তাদের অবৈধ কার্যক্রম।

এ অঞ্চলের মৎস্যজীবীরা বলছেন, আমরাও বুঝি আমরা অনেক মাছের জাত ধ্বংস করছি, কিন্তু কী করবো? জীবিকার তাগিদে বাধ্য হয়ে এই রেনু আহরণ করছি। আড়তদাররা হকারের মাধ্যমে জেলেদের কাছ থেকে রেনু সংগ্রহ করেন। সবাই নির্দিষ্ট হারে কমিশন পায়। প্রাথমিক পর্যায়ে প্রতিটি পোনা এক টাকায় বিক্রি করলেও খুলনা পর্যন্ত যেতে তার দাম পড়ে তিন টাকারও বেশি।

না প্রকাশে অনিচ্ছুক বড়খেরী এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, এ অবৈধ কাজের ফলে নদী মাছশূন্য হয়ে যাচ্ছে। এ অবৈধ কাজের জন্য প্রশাসন অভিযান পরিচালনা করে জরিমানা দিয়েও ধামানো যাচ্ছে না এ কার্যক্রমের। আসার আগে অবৈধ কারবারিরা জেনে যায়। ফলে অনেক অভিযান ব্যর্থ হয়, এলে আর কাউকে পাওয়া যায় না।

স্থানীয়রা জানান, এক সময় এ অঞ্চলে অনেক মাছ পাওয়া যেতো। এভাবে চিংড়ির রেনু আহরণ করতে গিয়ে মাছের অনেক প্রজাতি ধ্বংস হচ্ছে, এর ফলে নদীতে আর আগের মতো মাছ পাওয়া যায় না।

এলাকার সাধারণ মানুষ বলছেন, প্রাকৃতিক উৎস হতে বেপরোয়াভাবে এই রেণু শিকার বন্ধ করা দ্রুত প্রয়োজন, নচেৎ এক সময় নদী শূণ্য হয়ে যাবে।

রামগতি সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা  মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ‘আমরা প্রতিবছর অভিযান পরিচালনা করি কিন্তু আমাদের আসার উপস্থিতি টের পাওয়ার কারণে অনেক অভিযান ব্যর্থ। হয়। এবছরও উপজেলা প্রশাসন, মৎস্য বিভাগ, কোস্টগার্ড ও নৌ-পুলিশ বেশ কয়েকটি অভিযান পরিচালনা করেছে। সব সময় না পারলেও মৌসুমে মাঝেমধ্যেই আমরা অভিযান পরিচালনা করি। ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযান চালানো হচ্ছে এবং মৎস্য সংরক্ষণ আইনের আওতায় শাস্তিও দেওয়া হচ্ছে। নদী থেকে চিংড়ির রেণু পোনা ধরা সম্পূর্ণ নিষেধ কিন্তু এক শ্রেণীর অসাধু চক্র এ কাজ করে যাচ্ছে। আমরা বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে রেণু আটক করে রেণু পোনাগুলো নদীতে অবমুক্ত করছি। চিংড়ির রেণু পোনা নিধন প্রতিরোধে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’

 

মিসু সাহা নিক্কন/বার্তা/05/23

লক্ষ্মীপুর নিউজ আরও সংবাদ

নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চলছে চিংড়ির রেণু ধরার মহোৎসব

প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে রামগতিতে সমাবেশ

চর রমনী মোহনের ১ নং ওয়ার্ডের মেম্বার পদে দেড় বছর পর আদালতে ভোট গণনা

কমলনগরে প্রত্যাশা কোরিয়ান ও জাপানিজ ল্যাঙ্গুয়েজ ট্রেনিং সেন্টার এর উদ্বোধন

সাগরে ৬৫দিন মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা, না মানলে দণ্ড

রামগতির আটটি আড়তে অভিযান, অবমুক্ত এক লক্ষ চিংড়ি রেণু

লক্ষ্মীপুরটোয়েন্টিফোর বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রনালয়ে অনলাইন নিউজপোর্টাল প্রকাশনার নিবন্ধনের জন্য আবেদনকৃত, তারিখ: 9/12/2015  
 All Rights Reserved : Lakshmipur24 ©2012-2022
Chief Mentor: Rafiqul Islam Montu, Editor & Publisher: Sana Ullah Sanu.
Muktijudda Market (3rd Floor), ChakBazar, Lakshmipur, Bangladesh.
Ph:+8801794 822222, WhatsApp , email: news@lakshmipur24.com