নিজের প্রতিষ্ঠানিক কোন জ্ঞান না থাকলেও বাবার কাছ থেকে শিখে কবিরাজি চিকিৎসা দিতেন মো. মোসলেম (৫৮) নামে এক ভূয়া চিকিৎসক। দীর্ঘ ১৪-১৫ বছর ধরে লক্ষ্মীপুরের রামগতির আলেকজান্ডার বাজার এলাকায় এ চিকিৎসা দিয়ে আসছিল সে। অবশেষে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে যেতে হয়েছে।
রেজিস্ট্রিবিহীন মিসব্র্যান্ডেড ঔষধ বিক্রয় ও ভুয়া চিকিৎসা দেওয়ার দায়ে শনিবার (২৭ মে) দুপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আমজাদ হোসেন অভিযুক্ত মোসলেমকে দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেন।
মোসলেমের বাড়ি ভোলা জেলার লালমোহন উপজেলার রমাগঞ্জ গ্রামের হেকিম বাড়ি। সে ভোলা থেকে রামগতির আলেকজান্ডার বাজারে এসে আবাসিক হোটেল (অবকাশ বোডিং) ভাড়া করে অপচিকিৎসা দিত এবং অনুমোদনহীন ওষুধ বিক্রি করতো।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা: গোলাম সরোয়ার। ভ্রাম্যমাণ আদালতকে সহায়তা করেন তিনি।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আমজাদ হোসেন বলেন, দণ্ডপ্রাপ্ত মোসলেমের কোন প্রতিষ্ঠানিক লেখাপড়া নেই। তার বাবা একজন কবিরাজ ছিল। বাবার কাছ থেকে শিখে সে নিজেও চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছে। এছাড়া রোগীদের কাছে অনুমোদনহীন ওষুধও বিক্রি করতো মোসলেম। এতে অপচিকিৎসা নিয়ে প্রতারিত হতো সাধারণ মানুষ। ভোলা থেকে ১৪-১৫ বছর ধরে মাঝেমধ্যে রামগতি এসে সে এ চিকিৎসা দিয়ে আসছে। তার প্রতারণার খবর পেয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযান চালানো হয়। সে তার দোষ স্বীকার করায় তাকে এ দণ্ড দেওয়া হয়েছে।
মিসু সাহা নিক্কন/বার্তা/05/23
38Share