জাটকা রক্ষা কার্যক্রম বাস্তবায়নের লক্ষ্যে মৎস্য সংরক্ষণ আইনে দুই মাসের জন্য মেঘনা নদীতে সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ করেছে মৎস্য অধিদপ্তর। এ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জেলেরা যাতে মাছ ধরতে পারে এজন্য লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা মৎস্য দপ্তর মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়েছেন।
শনিবার (৮ এপ্রিল) দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত মেঘনা নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে টহল ও মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস এম শান্তুনু চৌধুরী। এসময় সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. জসিম উদ্দিন, পুলিশ ও আনসার সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলার চর রমিজ ইউনিয়নের মেঘনার তীরবর্তী ওছখালী এলাকায় চিংড়ি রেণুর আড়ৎ থাকার খবর পেয়ে অভিযান চালানো হয়। এসময় দুই আড়ৎ থেকে ৮০টি প্লাস্টিকের কন্টিনারে ভর্তি প্রায় এক লক্ষ পিস গলদা চিংড়ি পোনা, ১৫টি চাড়ি (পোনা রাখার পাত্র) জব্দ করা হয়।
সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. জসিম উদ্দিন বলেন, নদীতে অভিযান চালিয়ে কোন মাছ ধরার নৌকা, জাল কিংবা জেলেদের লক্ষ্য করা যায়নি।পরবর্তীতে নদীর তীরবর্তী এলাকায় অভিযানে চালিয়ে ৮০টি প্লাস্টিকের কন্টিনার ও পোনা রাখার ১৫টি পাত্র ধ্বংস করা হয় এবং প্রায় এক লক্ষ পিস চিংড়ি রেণু স্থানীয়দের উপস্থিতিতে প্রকাশ্যে মেঘনা নদীতে অবমুক্ত করা হয়। আমাদের এ অভিযান নিয়মিত চলছে এবং চলবে।
রামগতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস এম শান্তুনু চৌধুরী বলেন, আমরা বিভিন্ন মাছঘাটে অভিযানের পূর্বে সচেতনতামূলক সভা করেছি, জেলেদের সর্তক করেছি এবং পরবর্তীতে নিষেধাজ্ঞা অমান্যকারীদের জেল ও জরিমানা করেছি। যার ফলে নদী এখন জেলে শূণ্য, এরপরেও জেলেরা যাতে নদীতে মাছ শিকার করতে না পারেন সে লক্ষ্যে টহল ও মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করি। প্রশাসন, মৎস্য বিভাগ , নৌ-পুলিশ ও কোস্টগার্ড সফল অভিযান নিশ্চিত করতে তৎপর রয়েছে।
প্রসঙ্গত, ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত নদীতে জাটকার অভয়াশ্রম। এসময় লক্ষ্মীপুরের রামগতি থেকে চাঁদপুরের ষাটনল পর্যন্ত মেঘনা নদীর প্রায় একশ’ কিলোমিটার এলাকায় মাছধরা, পরিবহন, মজুদ, বাজারজাতকরণ ও ক্রয়-বিক্রয় সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
মিসু সাহা নিক্কন/বার্তা/23
124Share