নিজস্ব প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুরে এক এসএসসি পরীক্ষার্থীকে অপহরণ করে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। মঙ্গলবার বেলা দেড়টার দিকে সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জস্থ প্রতাপগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে বাড়ি ফেরার পথে আমানীলক্ষ্মীপুর গ্রামের ৩নং ব্রিজ এলাকায় এ অপহরণের ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে অপহৃত ছাত্রীকে উদ্ধারে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রয়েছে। অপহৃত পরীক্ষার্থী ছাত্রী স্থানীয় আমানীলক্ষ্মীপুর বেগম হামিদা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, গণিত পরীক্ষা শেষে অপহৃত পরীক্ষার্থী তার সহপাঠী ফুফাত বোন এবং ওই বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির এক সদস্যসহ চন্দ্রগঞ্জ বাজার থেকে সিএনজিচালিত অটোরিক্শাযোগে আমানীলক্ষ্মীপুরে তাদের বাড়িতে যাচ্ছিল। এ সময় সিএনজি গাড়িটি চন্দ্রগঞ্জ-আমানীলক্ষ্মীপুর সড়কের ৩নং ব্রিজ এলাকায় পৌঁছলে দুইটি মোটরসাইকেল আরোহী ৬ যুবক তাদের গতিরোধ করে। একপর্যায়ে তারা পরীক্ষার্থী ওই ছাত্রীকে জোরপূর্বক অপর আরেকটি সিএনজিতে উঠিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শী বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মজিবুল হক ভূঁইয়া জানান, গণিত পরীক্ষা শেষে তিনি ও অপহৃত ছাত্রী এবং তার ফুফাত বোনসহ তিনজন একই সিএনজিতে করে আমানীলক্ষ্মীপুরের বাড়িতে যাচ্ছিল। তাদেরকে বহনকারী সিএনজিটি আমানীলক্ষ্মীপুর গ্রামের ৩নং ব্রিজে পৌঁছলে পার্শ্ববর্তী ভৌরবনগর গ্রামের অপর পরীক্ষার্থী ছাত্র আক্তার হোসেন শান্তসহ মোটরসাইকেল আরোহী ৬ যুবক সিএনজি আটকিয়ে ওই ছাত্রীকে জোরপূর্বক টানাহেঁচড়া করে আরেকটি সিএনজি তুলে নেয়। এ সময় অপহৃতার ফুফাত বোন ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্য তাদেরকে বাধা দিলে তারা অস্ত্র বের করে গুলি করার হুমকি দেয়। ঘটনার পর থেকে অপহৃতার মা সংজ্ঞাহীন অবস্থায় রয়েছে।
আমানীলক্ষ্মীপুর বেগম হামিদা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আল কামাল মাহমুদ জানান, ঘটনার পর তার বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মজিবুল হক ভূঁইয়া তাকে ঘটনাটি জানালে তিনি তাৎক্ষণিক চন্দ্রগঞ্জ থানাকে জানান। এরপর চন্দ্রগঞ্জ থানা পুলিশ প্রত্যক্ষদর্শী মজিবুল হক ভূঁইয়াকে সাথে নিয়ে বিভিন্নস্থানে অভিযান চালায়। সন্ধ্যা পর্যন্ত অপহৃত ছাত্রীকে উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।
এ ব্যাপারে বিকেলে অপহৃতা পরীক্ষার্থী ছাত্রীর মামাতো ভাই মোঃ রাকিব হোসেন বাদি হয়ে চন্দ্রগঞ্জ থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় অভিযুক্ত আক্তার হোসেন শান্তকে ১নং এবং অজ্ঞাত আরো ৬/৭ জনকে আসামি করা হয়েছে। এজাহারভুক্ত আসামি আক্তার হোসেন শান্ত ভৌরবনগর গ্রামের প্রবাসী আব্দুল মন্নানের ছেলে।
চন্দ্রগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) একেএম আজিজুর রহমান মিয়া মুঠোফোনে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, অপহৃত পরীক্ষার্থী ছাত্রীকে উদ্ধার এবং আসামিদের গ্রেফতারে তিনি অভিযানে রয়েছেন।
0Share