জুনায়েদ আহম্মেদ: ১০ তলা নির্মাণাধীন ভবনটির প্রবেশ পথ বন্ধ করে সেখানে নির্মাণ করা হয়েছে দোকান ঘর। এতে ওই ভবনের ৩০ পরিবারের চলাচল পুরোপুরি বন্ধ গেছে। ভবনের সবগুলো ফ্ল্যাটের বাসিন্দারা এখন বাধ্য হয়ে মই দিয়ে যাতায়াত করছেন। অন্যদিকে ভবনটির প্রবেশ পথ বন্ধ করে দোকান নির্মাণের সময় বাঁধা দেয়ায় হামলার শিকার হয়েছে ভুক্তভোগীরা।
লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জের দেওপাড়া এলাকার সাফওয়ান টাওয়ারে এমন ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের পর অভিযুক্ত স্থানীয় আবদুর রহমান আরজুকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠায় পুলিশ। ভবনের ফ্ল্যাট মালিকরা লক্ষ্মীপুর ও নোয়াখালী জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে এসে বসবাসের জন্য ভবনটিতে ফ্ল্যাট কিনেন।
ভবনের একটি ফ্ল্যাটের মালিক নাদিম জানায়, স্থানীয় সামছুল আলম মেম্বারের নিকট থেকে ভবনটি কিনে নেন তারা। ভবনটির বিভিন্ন ফ্ল্যাটে এখনো উন্নয়ন কাজ শেষ হয়নি বিধায় তারা সকল পরিবার একত্রে স্থায়ীভাবে বসবাস করতে পারছেন না।
ফ্ল্যাটের বাসিন্দাদের অনুপস্থিতির সুযোগে স্থানীয় আবদুর রহমান আরজু ড্রাইভার মূল ফটক ভেঙ্গে চলাচলের রাস্তায় গড়ে তুলেছেন দোকানঘর। ভবনটির প্রবেশ পথ বন্ধ করে দেয়ায় বাসিন্দারা এখন মই দিয়ে ভবনে প্রবেশ করতে হচ্ছে।
কিন্ত অভিযুক্ত আরজুর দাবি তিনিও ভবনের নিচতলার কিছু অংশ সামছুল আলম মেম্বার থেকে কিনে নিয়ে মূল ফটক ভেঙ্গে দোকানঘর নির্মাণ করেছেন। তাঁর দাবি, তিনি ক্রয়সূত্রে ভবনের প্রবেশ পথের মালিক। চলাচলের রাস্তা ও মূল ফটক ভাঙ্গার মামলা দিয়ে তাকে হয়রানি করা হয়েছে ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শনিবার দুপুরে মই হাতে ফ্ল্যাটের নিচ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন নাদিম। প্রথমে দেখে মনে হলো আম পাড়তে কিংবা কোনো গাছে উঠতে তিনি যাচ্ছেন। পরে দেখি তিনি ফ্ল্যাটের ভিতরে প্রবেশের জন্য পিছনে মই দিয়ে কোনভাবে নিজ ফ্ল্যাটে প্রবেশ করছেন।
ভবনের নিরাপত্তা প্রহরী শাহজাহান মিয়া জানালেন, ভবনে একমাত্র চলাচলের রাস্তা ও ৩০ পরিবারের পানির টাঙ্কিটির উপর এখন দোকানঘর। এতে চলাচল যেমন করা অসম্ভব তেমনি ঝুঁকি রয়েছে পানি নিয়েও।
চন্দ্রগঞ্জ থানার ওসি তদন্ত মফিজুর রহমান জানান, মামলা হওয়ার পর বিষয়টি তদন্ত চলছে।
97Share