লক্ষ্মীপুরে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে ১৩ শতাংশ জমিতে লাগানো বিভিন্ন জাতের শীতকালীন সবজির চারা কেটে দিয়েছে প্রতিপক্ষের লোকজন৷ এতে লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে দাবি ভূক্তভোগী আবুল কাশেমের।
সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকালে সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের পেছনে এ ঘটনা ঘটে।
আবুল কাশেমের অভিযোগ, ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের চর মনসা গ্রামের চৌকিদার বাড়ির মৃত সফি উল্যার ছেলে মামুনুর রশিদ ও তার লোকজন এ কাজটি করিয়েছেন।
তিনি জানান, আগাম শীতকালীন সবজি উৎপাদনের লক্ষ্যে তিনি জমিতে লাউ, টমেটো এবং বেগুনের চারা লাগিয়েছেন। কিন্তু মামুন ভাড়াটে লোকজন দিয়ে জমিতে থাকা সবগুলো সবজির চারা কেটে দিয়েছেন৷ স্থানীয় জনপ্রতিনিকে বিষয়টি জানিয়েছেন। এ ঘটনায় তিনি আইনগত প্রতিকার দাবি করেন।
তিনি আরও জানান, চরমনসা মৌজার ৩৭৩৩ নং খতিয়ানের আরএস ২০৮৮ দাগে ২৭ শতাংশ জমির মধ্যে ১৩ শতাংশ জমির মালিক তিনি। মামুনদের পূর্ব পুরুষের কাছ থেকে তার মা মৃত হাজেরা খাতুন ওয়ারিশ সূত্রে মালিক হয়েছেন। মায়ের মৃত্যুর পর তিনি এ জমির মালিক হন।
আবুল কাশেম বলেন, ওয়ারিশি সূত্রে প্রাপ্ত জমিটি মামুন আমার কাছ থেকে নামমাত্র মূল্যে ক্রয় করতে চেয়েছে। কিন্তু আমি রাজি হইনি। ওই জমিতে আমি চলতি মৌসুমে আগাম শীতকালীন সবজি চাষ করি। কিন্তু প্রতিপক্ষ মামুন ক্ষিপ্ত হয়ে জমিতে থাকা শীতকালীন সবজির সবগুলো চারা কেটে দিয়েছে। এতে আমার লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এ ঘটনায় থানা পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানান তিনি।
আবুল কাশেমের ভাগিনা মোহাম্মদ আলী বলেন, ওয়ারিশি জমির মালিকানা নিয়ে আমার মামার সাথে দীর্ঘদিন থেকে বিরোধ ছিল। আদালত থেকে তিনি রায় পেয়েছেন। স্থানীয়ভাবেও একাধিকবার সালিসি বৈঠক হয়েছে। সেখানে জমিটি আমার মামার মালিকানা জমি হিসেবে শনাক্ত হয়। ওই জমি দখলে নিয়ে সেখানে আমরা সবজির আবাদ শুরু করেছি। কিন্তু প্রতিপক্ষের লোকজন সবগুলো চারা কেটে কাঁদা মাটির সাথে মিশিয়ে দিয়েছে। এর আগেও মামুন তার লোকজন দিয়ে আমাদের সবজি ক্ষেতের ক্ষতি করিয়েছে।
অভিযুক্ত মামুনুর রশিদ বলেন, জমি নিয়ে মামলা চলছে। জমিটি ৩০ বছর ধরে আমাদের দখলে ছিল। কিন্তু আবুল কাশেম সেখানে জোরপূর্বক সবজির চাষ করায় আমি সেগুলো কেটে দিয়েছি।
ভবানীগঞ্জের ৫ নম্বর ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মুজতুবা আহম্মদ তুহিন বলেন, আবুল কাশেম ওয়ারিশ সূত্রে ১৩ শতাংশ জমির মালিক, এটা সত্য। ওই জমিটি মামুন ক্রয় করতে চেয়েছে, কিন্তু এতে আবুল কাশেম রাজি হয়নি। বিতর্কিত জমিতে আবুল কাশেমের লাগানো সবজির চারা কর্তন করা ঠিক হয়নি। এটি ন্যাক্কারজনক ঘটনা।
56Share