লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার তোরাবগঞ্জ বাজারের হাটের দিনে একটি গলি দখল করে দোকানঘর নির্মাণের উদ্দেশ্যে তাতে সবজি চাষ ও মোটরসাইকেল স্ট্যান্ড বানিয়ে লোকচক্ষুর আড়ালে নেয়ার চেষ্টা হচ্ছে। রবিবার (২১ মার্চ) হাটের দিন বাজারের কুটির শিল্প গলিতে (খাঁচাহাটা) গিয়ে এর সত্যতা পাওয়া যায়।
সেখানে গিয়ে দেখা যায়, মধ্য বাজারের ওই গলির অর্ধেক অংশে কুটির শিল্প ও হোসিয়ারি দোকান রয়েছে। বাকি অর্ধেক অংশে লাউগাছ ও শাকসবজি লাগানো হয়েছে । আবার অনেক গুলো মরটসাইকেল দাঁড় করিয়ে একদিকের পথ আটকিয়ে দেয়া হয়েছে। গলির উত্তর পশ্চিম দিকে মুখের মাংসের দোকানদারেরা আবর্জনা ফেলে তাতেও প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে রেখেছে। গলির উত্তর প্রান্তে আরেকটি ঘর তুলে পথ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
হাটের মধ্যে রহমান নামের একজন জানান, কয়েক বছর আগে এখানে হাঁস মুরগির হাট ও খোলা চাউলের হাট বসতো। এখন এ বাজারে কৃষকরা আসে না। অন্যদিকে এ গলিটি দখল করার চেষ্টা হচ্ছে। কারণ পাশের গলি দখল হয়ে গেছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাজারের কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, গলিটি দীর্ঘদিন থেকে গলিটি অকেজো তাতে রাতের আধাঁরে ঘর তুলে দোকান ঘর নির্মাণের পায়তারা করছে একটি মহল। তারা আরো জানান ইতোপূর্বে ওই গলির পাশের একটি গলি এভাবে দখল করে সেখানে দোকানঘর নির্মাণ করা হয়েছে।
বাজারের আলী বস্ত্র বিতানের মালিক ফিরোজ আলম জানায়, ভেতরের গলি খালি রেখে হাটের দিন প্রধান সড়কে হাঁসমুরগির বাজার বসানোর কারণে দীর্ঘযানজট তৈরি হচ্ছে। কিন্ত ইজারাদারা এর খবর নেয় না।
বাজারের ক্রেতা আমির হোসেন জানান, ভেতরের গলি অকেজো করে মতিরহাট-তোরাবগঞ্জ সড়কের ওপর মরিচের হাট বসানোর কারণে পশ্চিম বাজারেও দীর্ঘযান থাকে।
বাজারের গলি ফাকাঁ রেখে সড়কে হাঁস মুরগির হাট ও মরিচের হাট বসানোর বিষয়ে জানতে চাইলে ইজারাদার মোঃ বেলাল হোসেন জানান, ওই গলিটি পরিস্কার করে এ বছর সেখানে হাট বসাবেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুজ্জামান জানান, সরকারি জায়গা দখল করার অধিকার কারোর নাই, তঃসিলদার (ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা) পাঠাবো এবং খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।
366Share