লক্ষ্মীপুরের রামগতির মেঘনা নদীতে নিষেধাজ্ঞার সময় ইলিশ শিকার করার দায়ে ৮ জেলেকে আটক করেছে নৌ- পুলিশ। এসময় ১৫ হাজার মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল, ২টি ইঞ্জিন চালিত নৌকা ও ২০ কেজি ইলিশ মাছ জব্দ করা হয়।
গতকাল বুধবার দুপুরে নিয়মিত মামলায় আটককৃত জেলেদের জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। এরআগে মঙ্গলবার রাত থেকে রাত ভোর পর্যন্ত মেঘনা নদীর টাংকির ঘাট, তেলির খাল ও সুইজ খালসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
আটককৃত আসামীরা হলেন মো. দিদার হোসেন (২৬), মো. জুয়েল (২৬), বাপ্পি মিয়া (২১), আলা উদ্দিন (৩০), রিদন মিয়া (২৫), অঅনোয়ার হোসেন (২১), ইব্রাহীম খলিল (২৮), মঈন উদ্দিন (১৬)।তাদের প্রত্যেকের বাড়ি রামগতি উপজেলার চরগাজী ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায়।
রামগতির বড়খেরী নৌ পুলিশ ফাঁড়ীর ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক (নিঃ) ফেরদৌস আহম্মদ বলেন, ‘মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান’ উপলক্ষে নদীতে সকল ধরনের মাছ ধরা উপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। নিষেধাজ্ঞার সময় মাছ শিকাররের দায়ে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। এসময় ৮ হাজার মিটার জাল ও ২০টি মা ইলিশ জব্দ করা হয়। জব্দকৃত জাল আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস ও ইলিশ মাছগুলো স্থানীয় এতিমখানায় বিতরণ করা হয়।
সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. জসিম উদ্দিন বলেন, মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান চলাকালে মাছ শিকারের দায়ে মৎস্য সুরক্ষা ও সংরক্ষণ আেইন ১৯৫০ (সংশোধিত ২০১৩) এর ৫(২)(খ)নিয়মিত মামলায় তাদের আটক করে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে। জব্দকৃত নৌকাগুলো অভিযান শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, রামগতির মেঘনা নদীতে জাটকা সংরক্ষণ ও মা ইলিশ রক্ষায় ২২ দিন সকল ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ করেছে সরকার। এ নিষেধাজ্ঞা ৭ অক্টোবর মধ্য রাত থেকে ২৮ অক্টোবর মধ্য রাত পর্যন্ত। এ ২২ দিন সকল ধরনের জাল ফেলা ও মাছ ধরা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এসময় সব রকমের ইলিশ সংরক্ষণ, আহরণ, পরিবহন, বাজারজাত করণ, মজুত ও বিনিময় নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
মিসু সাহা নিক্কন/10/22
106Share