লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে সরকারী পাঠ্যবই বিক্রির অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় দুই মাদরাসা শিক্ষককে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুরে আদালতে হাজির হলে উপজেলার হাজিপাড়া আল আরাফা দারুল উলুম দাখিল মাদ্রাসার সুপার নুরুল আমিন চৌধুরী ও সহকারী শিক্ষক মো. সোলাইমানকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন লক্ষ্মীপুর চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক আবু ইউছুফ।
এর আগে উচ্চ আদালত থেকে ৬ সপ্তাহের অন্তবর্তীকালীন জামিন নেন তারা। জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় তারা নিন্ম আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে আদালত জামিন না মঞ্জুর করেন।
তাদের বিরুদ্ধে সরকারি ১ হাজার ৯৯৯ টি পাঠ্য বই ভাঙারি ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রির অভিযোগে গত ৩০ অক্টোবর কমলনগর থানায় মামলা করেন আবুল কাশেম নামে এক অভিভাবক। এ মামলায় আরও তিনজনকে আসামী করা হয়েছে।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯ টার দিকে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আবুল কালাম আজাদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আসামিরা উচ্চ আদালত থেকে ৬ সপ্তাহের জামিনে ছিলেন। নির্দিষ্ট সময় শেষ হওয়ায় তারা আদালতে উপস্থিত হয়ে জামিন আবেদন করেন। বিচারক তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়। তাদেরকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মামলা সূত্র জানায়, কমলনগরের হাজিরপাড়া আল আরাফাহ দারুল উলুম দাখিল মাদরাসার সুপার নুরুল আমিন প্রতি বছর চাহিদার চেয়ে অতিরিক্ত বই সংগ্রহ করেন। পরে সেগুলো ভাঙ্গারী দোকানে বিক্রি করে দেন। গত ২৯ অক্টোবর দুপুরে সরকারি বই কেনা-বেচার সময় দুইজনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয়রা। এসময় একটি পিকআপভ্যানসহ ২০২১-২২ সালের এক হাজার ৯৯৯ টি বই উদ্ধার করা হয়। এর আগেও কয়েকবার তিনি বিপুল পরিমাণ বই বিক্রি করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে মাদরাসা সুপারের বিরুদ্ধে।
কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোলাইমান জানান, পাঠ্যবই বিক্রি ঘটনায় আবুল কাশেম নামে এক অভিভাবক ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। ঘটনার সময় বইসহ আটক মোশাররফ ও বিশালকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। এ মামলায় শিক্ষক নুরুল আমিন, সোলাইমান, বই ক্রেতা (ভাঙ্গারি ব্যবসায়ী) মোশাররফ হোসেন মন্ডল ও পিকআপ চালক বিশাল চৌধুরীর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে।
45Share