নিজস্ব প্রতিনিধি: রামগতি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয় মেরামত কাজের চেক বিতরণ করা হয়েছে। এ সময় ভারপ্রাপ্ত উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ‘অফিস খরচ’ এর কথা বলে একজন সহকারী শিক্ষকের মাধ্যমে বিভিন্ন স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের কাছ থেকে এই অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয় সূত্র জানায়, প্রাথমিক বিদ্যালয় উন্নয়ন প্রকল্প-৩ (পিইডিপি) এর আওতায় ক্ষুদ্র মেরামতকাজের জন্য উপজেলার ৩৮টি বিদ্যালয়ে ৩০ হাজার টাকা করে এবং শৌচাগার সংস্কারের জন্য ১৩টি বিদ্যালয়ে ১৫ হাজার টাকা করে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
চরসীতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. হুমায়ুন কবির অভিযোগ করে বলেন, ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা কর্মকর্তা মজিবর রহমান তার ঘনিষ্ঠ মধ্য আলেকজান্ডার-২ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক এ কে এম জাফর আহমদের মাধ্যমে এসব মেরামতকাজের চেক বিতরণের সময় টাকা আদায় করছেন। তিনি ‘অফিস খরচ’ বাবদ ৩০ হাজার টাকার চেকের জন্য এক হাজার ৬০০ টাকা এবং ১৫ হাজার টাকার চেকের জন্য ৮শ’ টাকা করে নিচ্ছেন।
রামগতি বালিকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. হেলাল উদ্দিন জানান, উপজেলা শিক্ষা কার্যালয় থেকে ওই বরাদ্দের চেক গ্রহণ করতে গেলে অফিস খরচের কথা বলে আমার কাছ থেকে ১৬০০ টাকা নেওয়া হয়। ভারপ্রাপ্ত উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার উপস্থিতিতেই সহকারী শিক্ষক জাফর আহমদ এই টাকা নেন।
রামগতি স্টেশন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফেরদৌস, উত্তর-পূর্ব চর আফজল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জীবন কৃষ্ণ মজুমদার ও রামগতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অসীম চন্দ্র দাসের কাছ থেকেও একই হারে টাকা নেওয়া হয়েছে বলে তারা অভিযোগ করেছেন।
ভারপ্রাপ্ত উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মজিবর রহমান প্রাথমিক বিদ্যালয় মেরামত কাজের কিছু চেক বিতরণের কথা স্বীকার করে বলেন, অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার বিষয়টি সঠিক নয়। তিনি এবং তার দফতরের কেউ এ ধরনের ঘটনার সঙ্গে (অফিস খরচের নামে অবৈধ টাকা আদায়) জড়িত নয় বলে তিনি দাবি করেন।
0Share