রায়পুর প্রতিনিধি: রায়পুর উপজেলার চরকাছিয়া গ্রামে পুলিশ ফাঁড়ির পাশে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) ৮৪ শতাংশ জায়গা দখল করে নিয়েছেন হারুনুর রশিদ (৩৫) নামে এক বাস্তুহারা লীগ নেতা। স্থানীয় যুবলীগ ও বাস্তুহারা লীগ নেতাকর্মীদের নিয়ে গত শনিবার ও রোববার দুই দফায় ওই জমি দখল করেন তিনি। সোমবার সকালে আবদুল মান্নান সরকার, আলতাফ সরদার, আবুল কাসেম ব্যাপারী, আবদুল আজিজ ও আলেয়া বেগম নামে বিএনপির কয়েকজন নেতা সংবাদিকদের কাছে এ অভিযোগ করেন।
তাদের অভিযোগ, দখলদারদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে নিশ্চুপ রয়েছে পাউবো কর্মকর্তা ও ফাঁড়ির পুলিশ।
বিএনপি নেতারা অভিযোগ করেন, পাঁচ বছর আগে চরকাছিয়া মৌজার বোরোপিট ক্যানেল হাজীমারা স্লুইসগেট এলাকার ফাঁড়ির পেছনে (ওয়াপদার হিমাগার থেকে পূর্বে এলাহি হাওলাদার বাড়ি পর্যন্ত) ৮৪ শতাংশ জমি জেলা রাজস্ব বিভাগ থেকে তারা বন্দোবস্ত নেয়। এরপর থেকে সরকারকে নিয়মিত খাজনা দিয়ে ভোগদখল করে আসছে। কিন্তু বাস্তুহারা লীগ নেতা ও স্থানীয় বাসিন্দা হারুনুর রশিদ শনিবার ও রোববার দুই দফায় তার অনুসারী ১০-১৫ জনের সশস্ত্র ক্যাডারদের নিয়ে জমি দখল করে। প্রায় এক একর জমিতে চাষ করা পান ও ৫০টি গাছের নারিকেল লুট করে নিয়ে যায়। এসময় বাধা দিতে গেলে তারা হামলার চেষ্টা করে। ঘটনার সময় জেলা রাজস্ব ও পাউবোর ভূমি অফিসের সহযোগিতা চাইলে তারা অপারগতা প্রকাশ করে।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে বাস্তুহারা লীগ নেতা হারুনুর রশিদ ঔদ্ধত্যের সঙ্গে বলেন, ‘লক্ষ্মীপুর জেলা রাজস্ব কার্যালয় থেকে বন্দোবস্ত নিয়েই জমি দখল করেছি। লোকজন নিয়ে গাছ পরিষ্কারসহ পান ও ফল নিয়ে এসেছি। পারলে আপনারা রিপোর্ট লেখেন।’
পাউবো কর্মকর্তা (এসও) মো. হানিফ ও সার্ভেয়ার মো. জাকির হোসেনের কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে বাধা দেয়া হয়েছে। কাগজপত্র দেখতে চাইলে ওই নেতা পরে দেখা করবেন বলে জানান।
পাউবোর কর্মকর্তারা ক্ষুব্ধ হয়ে বলেন, যে সরকার ক্ষমতায় আসে সেই দলের নেতাকর্মীরাই নিজেদের সম্পদ মনে করে ওই জায়গাগুলো দখলে নিয়ে ব্যবসা করে আসছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
চাঁদপুর পাউবোর ভূমি কর্মকর্তা মো. জহির হোসেনের মোবাইল ফোনে একাধিক বার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
0Share