জুনায়েদ আহমেদ | লক্ষ্মীপুরটোয়েন্টিফোর : লক্ষ্মীপুরে দশতলা ভবনের মূল ফটক ভেঙ্গে দোকানঘর নির্মাণ করে ৩০টি পরিবারকে অবরুদ্ধ করে রাখার অভিযোগে সাংবাদিক সম্মেলন করা হয়েছে। প্রায় মাস খানেক ধরে আবদুর রহমান আরজু নামে এক ব্যক্তি ফ্ল্যাটের চলাচলের পথ বন্ধ করে দোকানঘর নির্মাণ করায় ওই পরিবারগুলো জিম্মি হয়ে রয়েছে। শনিবার (১৭ জুন) দুপুরে সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের দেওপাড়া এলাকার সাফওয়ান টাওয়ারে ভুক্তভোগী পরিবারের লোকজন এসব কথা জানান।
সাংবাদিক সম্মেলনে ফ্ল্যাটটির ভুক্তভোগী মালিক ব্যাংক কর্মকর্তা সাখাওয়াত হোসেন, প্রবাসী দেলোয়ার হোসেন নাদিম, ইকবাল হোসেন, সোহাগ, মানিক হোসেন, শিক্ষক লোকেশ্বর দাস, ব্যবসায়ী শাহজাহান ও আমেনা বেগম বক্তব্য রাখেন।
ভুক্তভোগীরা জানায়, সামছুল আলম নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে সাফওয়ান টাওয়ারে ৩০টি পরিবার ফ্ল্যাট কিনেছেন। এতে নিয়মানুযায়ী নীচতলায় পার্কিং ও চলাচলের জন্য উম্মুক্ত থাকার কথা দলিলে উল্লেখ থাকলেও আবদুর রহমান আরজু নামে এক ব্যক্তি ভবনের নীচতলার মূল ফটক ভেঙ্গে দোকানঘর নির্মাণ করেছেন। সেখানে তিনি রাতারাতি দোকান নির্মাণ করে সিমেন্টের ব্যবসা চালু করেছেন। তার কারণেই ৩০টি পরিবার এখন জিম্মি হয়ে পড়েছে। ফ্ল্যাটে উঠতে পারছেন না ফ্ল্যাট মালিকরা। মই ব্যবহার করে তাদেরকে ফ্ল্যাটে উঠতে হয় দাবি করে এ জিম্মি দশা থেকে বাঁচতে জেলা প্রশাসক ও জেলা পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ চান ভুক্তভোগীরা।
এদিকে দোকান নির্মাণের প্রতিবাদ করলে আরজু ও তার লোকজন ফ্ল্যাট মালিক সৌদি প্রবাসী নাদিমকে মারধর করে। এ ঘটনায় চন্দ্রগঞ্জ থানায় নাদিমের দায়েরকৃত মামলায় আরজু কয়েকদিন জেলও খেটেছেন। পরে তিনি জামিনে মুক্ত হয়ে ফ্ল্যাট মালিকদেও হুমকি দেন বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী নাদিমসহ অনেকে।
80Share