লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়নে মৃত্যুর চারদিন পর সুমাইয়া আক্তার (২০) নামে এক গৃহবধূর লাশ উত্তোলন করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে জেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রিপা মনি দেবী, চন্দ্রগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) বেলায়েত হোসেন ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মজিবুর রহমান এসময় উপস্থিত ছিলেন। এর আগে গত শুক্রবার (৫ ফেব্রুয়ারী ) রাতে স্বামীর বাড়ীতে মৃত্যু হলে পরদিন সকালে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। এদিকে সুমাইয়াকে পিটিয়ে শ্বশুর আমির হোসেন হত্যা করেছে বলে অভিযোগ করেন নিহতের মা কহিনূর বেগম খুকি ও স্বজনরা। ঘটনার পরপরই পুলিশ আমির হোসেনকে আটক করে।
সুমাইয়া সদর উপজেলার উত্তর জয়পুর ইউনিয়নের হানিফ মিয়াজি এলাকার কিত্তিয়ার বাড়ীর আবু হোসেনের মেয়ে ও বশিকপুর ইউনিয়নের কাশিপুর গ্রামের তুহিনের স্ত্রী ছিলেন।
নিহতের মা কহিনূর বেগম খুকি জানান, প্রায় তিন বছর আগে সুমাইয়ার সাথে তুহিনের বিয়ে হয়। তুহিন ঢাকায় একটি বেসরকারী কোম্পানীতে চাকুরী করে। তাদের দেড় বছরের একটি কন্যা সন্তানও রয়েছে। বিয়ের পর থেকেই শ্বশুর আমির হোসেন সুমাইয়াকে বকাঝকা দিতেন। ঘটনার দিন সুমাইয়ার শ্বশুর তাকে পিটিয়ে হত্যা করে পরে ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার জন্য স্ট্রোক করে মৃত্যু হয়েছে বলে তাদেরকে মুঠোফোনে জানায়। পরদিন তড়িঘড়ি করে কবর দিয়ে দেয়া হয় বলে অভিযোগ করেন তিনি।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মজিবুর রহমান জানান, এঘটনায় একজনকে আসামী করে মামলা দায়ের করা হলে ওই আসামীকে গ্রেফতার করা হয়। পরে আদালত লাশ উত্তোলন করে সুরতহাল প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
561Share