রায়পুরে পরিত্যক্ত রান্না ঘরে রহস্যময় আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় বৃদ্ধ দম্পতির নামে রায়পুর থানায় ঘর পোড়ানোর মামলা দায়ের করা হয়েছে । তবে রায়পুর ফায়ার সার্ভিস বলেছে শক সার্কিট থেকে এই অগ্নিকান্ড সংগঠিত হয়েছে। ৮ অক্টোবর এ ঘটনার ৩ দিন পর রাহেলা বেগম বাদী হয়ে একই বাড়ির বৃদ্ধ দম্পতি নিজাম উদ্দিন হায়দার (৭৫), তার স্ত্রী শাহিন বেগম (৬৫) এবং ঢাকায় চাকুরিরত ছেলে রাসেল (৩৫) কে আসামী করে ঘর পোড়ানোর মামলাটি দায়ের করেন।
এর আগে গত ৬ অক্টোবর রাতে রায়পুর পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের হারুন সাংবাদিকের বাড়ির (সুলতান মাষ্টার এর বাড়ির) মামলার বাদি রাহেলা বেগমের নির্মানাধীন বিল্ডিং এর পাশে পরিত্যক্ত একটি রান্নাঘরে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে রায়পুর ফায়ার সার্ভিস আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
রায়পুর ফায়ার সার্ভিসের টিম লিডার ছলিম উদ্দিন জানায়, খবর পাওয়ার সাথে সাথে আমরা টিম ও গাড়িসহ ছুটে যাই। আমাদের ধারণা পুরাতন ফ্রিজ থেকে বৈদ্যুতিক শট সার্কিট থেকেই আগুনের সূত্রপাত ঘটেছিল। এতে তেমন কোন ক্ষয়ক্ষতি তেমন হয়নি”।
মামলাটি মিথ্যা ও আগুন লাগানোর ঘটনা ষড়যন্ত্র দাবী করে বৃদ্ধ নিজাম উদ্দিন হায়দার জানায়, এজমালি জমি ও পৌরসভার অনুমোদন এর বাহিরে বাড়ি করতে গেলে ভুক্তভোগী নিজাম হায়দার গত ৬ অক্টোবর তারিখে সিরাজুল ইসলামের বাড়ি নির্মাণের স্থিতবস্থা চেয়ে আদালতে একটি মামলা দায়ের করে। বিজ্ঞ আদালত সেখানে ১৪৪ ধারা জারি পূর্বক তাদের কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশনা প্রদান করেন। উক্ত ঘটনা অন্যখাতে প্রভাবিত তাদের পরিত্যক্ত ঘরে আগুন লাগিয়ে আমাদের উপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। প্রতিশোধ নিতে বিল্ডিংয়ের মালিক রাহেলা বেগম ও তার নিকটাত্মীয়রা বিদেশ থেকে ষড়যন্ত্র করে নিজেদের পরিত্যক্ত ঘরে আগুন লাগিয়ে থানায় মিথ্যা মামলা দায়ের করে।
তিনি আরো জানান, আমি এবং আমার স্ত্রী দু’জনেই বয়স্ক মানুষ এবং অসুস্থ। আমার একমাত্র ছেলে ঢাকায় চাকরি করে, বৌ বাচ্চা নিয়ে ঢাকায় থাকে, ঈদ ছাড়া বাড়িতে আসেনা, তাকেও মামলার আসামি করা হয়েছে।
এদিকে এ ঘটনায় সিরাজুল ইসলামের ভাই দেলোয়ার হোসেন মৃধা স্থানীয় সাংবাদিকদের নিকট দাবী করেন, জমি সংক্রান্ত বিরোধে বৃদ্ধ দম্পতি ঘরে আগুন দিয়েছে।
অন্যদিকে এ রহস্যময় আগুন লাগার ঘটনায় মামলার বিষয়ে রায়পুর থানার ওসি (তদন্ত) জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, এ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। তবে বাদী ও বিবাদের মধ্যে পূর্ব থেকেই জমি সংক্রান্ত বিরোধ ও মামলা রয়েছে বলে আমরা শুনেছি। বিষয়টি তদন্ত চলছে।
67Share