লক্ষ্মীপুরে মীর তানবিন শাহরিয়ার রুপক নামে এক শিক্ষককে রড দিয়ে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে তিন ভাইয়ের বিরুদ্ধে। এসময় তার মোবাইলফোনও ছিনিয়ে নিয়ে যায় হামলাকারীরা।
জেলার সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের শরীফপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহত রুপককে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সে ওই এলাকার মীর বাড়ির ব্যবসায়ী মীর আনোয়ারুল আজিমের ছেলে এবং স্থানীয় ফাতেমা আইডিয়াল স্কুলে শিক্ষকতা করেন।
শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে এবং দুপুর সোয়া ১ টার দিকে দুই দফা হামলার শিকার হন তিনি।
অভিযুক্তরা হলেন ওই এলাকার ব্যবসায়ী মো. নুর নবীর ছেলে নুরে আলম বাবু, রাকিব হোসেন ও আরিফ হোসেন। তারা ফের হামলার উদ্দেশ্যে রুপকের বাড়ি ঘেরাও করলে স্থানীয়রা জড়ো হলে তারা পালিয়ে যায়। একপর্যায়ে জাতীয় জরুরি সেবা নাম্বার ৯৯৯ এ কল পেয়ে সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, নুরনবীর বাড়ির পাশে মীর বাড়ির লোকজনের জমি রয়েছে। ওই জমিতে নুরনবীর বাড়ির ওপর দিয়ে যাতায়াত করতে হয়। শুক্রবার সকালে রুপক ওই বাড়ির ওপর দিয়ে তাদের জমি দেখতে যায়। এসময় নুরনবীর ছেলে রাকিব, বাবু ও আরিফ তার ওপর হামলা চালায়। এসময় তাকে কিল-ঘুষি মারে। তাদের হাত থেকে বেঁচে সে চলে আসে।
রুপক দুপুরে বাড়ি থেকে জুমার নামাজ পড়ার উদ্দেশ্যে মসজিদের দিকে যাবার পথে ফের পেছন থেকে বাবু, রাকিব ও আরিফ ফের তার ওপর হামলা করে। এসময় তাকে রড দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে আহত করে। এসময় রুপকের স্মার্ট ফোনটিও তারা নিয়ে যায়। পরে রুপক দৌঁড়ে গিয়ে মুসল্লিদের ডেকে আনলে হামলাকারীরা সরে যায়। নামাজ শেষে ফের হামলার উদ্দেশ্যে রুপকদের বাড়ির সামনে লোকজন নিয়ে অবস্থান নেয় হামলাকারীরা। পরে মুসল্লী ও এলাকাবাসী জড়ো হলে তারা পালিয়ে যায়। এরপরও তাকে মারধরের হুমকি দেয় হামলাকারীরা। এতে রুপক নিজেই জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ এ কল দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়।
সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক কমলাশীষ রায় বলেন, আহত ব্যক্তির শরীরের বিভিন্ন পিঠ ও মাথাসহ অংশে জখমের চিহ্ন রয়েছে। তাকে হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
বক্তব্য জানতে নুরনবী ও তার ছেলেদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও কথা বলা সম্ভব হয়নি। ঘটনাস্থলে পুলিশ যাওয়ার পর থেকেই তারা আত্মগোপনে রয়েছে বলে স্থানীয়ভাবে জানা যায়।
লক্ষ্মীপুর সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শহীদুল ইসলাম বলেন, ৯৯৯ এ কল পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি। স্থানীয় লোকজন এবং ভূক্তভোগীর সাথে কথা বললে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়। আহত রুপককে থানায় মামলা করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
0Share