তাবারক হোসেন আজাদ,রায়পুর: ১০ মাস পর ঢাকার গার্মেন্টস কর্মী ১৬ বছরের কিশোরী মুনিয়া বাংলাদেশ ন্যাশনাল ওমেন ল-ইয়াস এসোসিয়েশনের মাধ্যমে বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারী) স্বজনদের কাছে ফিরে এসেছে। লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার কেরোয়া গ্রামের দিনমজুর মোঃ মাঈন উদ্দিন তার মেয়েকে পেয়ে মেয়েকে পেয়ে আনন্দে আত্মহারা হয়েছেন। মুনিয়া গত ২৫ মার্চ তার বড় বোন মায়া আক্তারের সঙ্গে ঢাকায় বেড়াতে যায় এবং কেরানীগঞ্জে গার্মেন্টে কাজ নেন। দুদিন পর তার এক সহকর্মীর প্ররোচনায় পাচারকারীদের খপ্পরে পড়ে সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে ভারতে পাচার হওয়ার সময় ভারতীয় সিমান্তরক্ষী বাহিনীর হাতে আটক হয়। পরে তারা মুনিয়াকে ব্যাঙ্গালোরের বালিকা বালা মন্দিরে হস্তান্তর করে এবং ১০ মাস সে নিরাপদ হেফাজতে থাকার পর ওই সংস্থার মাধ্যমে স্বজনদের কাছে ফিরে আসে। এসময় ভারতে সেইফ হোমে কর্মরত অবস্থায় মুনিয়ার জমা থাকা নগদ ৭৫৪৬ টাকা পরিবারের সদস্যদের বুঝিয়ে দেওয়া হয়।
মুনিয়ার পিতা মোঃ মাঈন উদ্দিন জানান, তার মেয়ে মুনিয়া পাচার হওয়ার ঘটনার সংবাদ বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশ হলে বাংলাদেশ ন্যাশনাল ওমেন ল-ইয়ার্স এসোসিযেশানের নির্বাহী পরিচালক এড. সালমা আলী ভারতে তাদের প্রতিনিধির মাধ্যমে যোগাযোগ করেন। পরে ২৯ নভেম্বর ব্যাঙ্গালোরে অবস্থিত বালিকা বালা মন্দিরে কিশোরীর অবস্থান নিশ্চিত হয় এবং উদ্ধার করে নিয়ে আসে।
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারী) রায়পুর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে মুনিয়াকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেন এ সংস্থার কর্মকর্তারা। এসময় ইউএনও শারমিন আলম, পৌর মেয়র এ.বি.এম জিলানী, এসিল্যান্ড মোঃ শরিফুল ইসলাম, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শিউলি আক্তার, এসিস্ট্যান্ট প্রোগাম ম্যানেজার নাজমা সুলতানা, সোসাল মবিলাইজেশন প্রোগ্রামার রিনা আক্তার, আ’লীগ নেতা হাজী ইসমাই হোসেন খোকন ও স্থানীয় সাংবাদিকবৃন্দ ।
0Share