নিজস্ব প্রতিবেদক: লক্ষ্মীপুরের ৫৬ জন বিএনপি নেতা গুম খুনের শিকার হয়েছে। যারা গুম হয়ে গেছে আজ পর্যন্ত পরিবার আশায় রয়েছে তাদের সন্তান, স্বামী, বাবা, ভাই কবে ফিরে আসবে। ফিরে আসছে না। যুগ পার হয়ে যাচ্ছে ফিরে আসছে না। কবে এই গুম খুনের বিচার হবে, আমরা নুন্যতম বিচারটি দেখে যাব।
৫ সেপ্টেম্বর বিকেলে লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জ থানা বিএনপির প্রথম দ্বিবার্ষিক সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমন তথ্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এডভোকেট আহমেদ আযম খান । হাজিরপাড়া হামিদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে এ আয়োজন করা হয়।
তিনি আরো বলেন, যারা নিজেদেরকে আত্মাহুতি দিয়েছেন গণতন্ত্রের জন্য, সেই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হবে, আমাদের দল বিএনপি সরকার গঠন করবে। ওই ৫৬টি পরিবারের মুখে হাসি ফুটাবে। তারা বিএনপির দিকে তাকিয়ে আছে। সেজন্য আপনাদেরকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। ওই ষড়যন্ত্রের দাঁত ভাঙা জবাব দিতে হবে।’
চন্দ্রগঞ্জ থানা বিএনপির আহ্বায়ক এম বেল্লাল হোসেনের সভাপতিতে সম্মেলন উদ্বোধন করেন বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি। চন্দ্রগঞ্জ থানা বিএনপির সদস্য সচিব আনোয়ার হোসেন বাচ্চুর সঞ্চালনায় এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক হারুনুর রশিদ ভিপি হারুন, ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন,জেলা বিএনপির সদস্য সচিব শাহাবুদ্দিন সাবু, যুগ্ম আহ্বায়ক এডভোকেট হাছিবুর রহমান, বাফুফের সহ-সভাপতি মো. ওয়াহিদ উদ্দিন চৌধুরী হ্যাপী ও সদর (পূর্ব) উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাইন উদ্দিন চৌধুরী রিয়াজসহ আরও অনেকে।
বিএনপির দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালের সদর থানা বিভক্ত হয়ে চন্দ্রগঞ্জ থানা গঠিত হয়। ২০২২ সালে ২৯ অক্টোবর সদর (পূর্ব) উপজেলা বিএনপি থেকে বিভক্ত করে সম্মেলন ছাড়াই চন্দ্রগঞ্জ থানা বিএনপির আহ্বায়কের কমিটি ঘোষণা করে জেলা বিএনপি।
0Share