সাইফুল স্বপন: ঈদে ঢাকা ও চট্র্গ্রাম থেকে বাড়ি আসা লোকজন আবার র্কম স্থলে ফিরতে শুরু করেছে। জীবন জীবিকার টানে আবার কর্মস্থলে ফিরা। সরকারের বার বার হুশিয়ারী সত্ত্বেও লক্ষ্মীপুর থেকে বিভিন্ন গন্তব্য ফেরা যাত্রীদের কাছ থেকে দ্বিগুন হারে বাস ভাড়া আদায় করছে বাসমালিকরা। বাস মালিকদের
এই অতিরিক্ত অর্থ আদায়ে অসহায় সাধারণ যাত্রীরা।লক্ষ্মীপুর থেকে ঢাকার একমাত্র যোগাযোগ মাধ্যাম সড়ক পথ। এছাড়া ঢাকার সাথে লক্ষ্মীপুরে নৌ, রেল বা আকাশ পথের কোন যোগাযোগ ব্যাবস্থা নাই। আর এই সুযোগ কে জিম্মি করে যাত্রীদের কাছ থেকে দ্বিগুন হারে বাস ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। সোমবার বিআরটিএ মোবাইল কোর্ট পরিচালনা ও সর্তক করার পরও দ্বিগুন হারে আদায় করছে বাস ভাড়া।
আন্ত জেলা ও দূর পাল্লার রুটে লক্ষ্মীপুর থেকে ঢাকার বাস ভাড়া বিআরটিএ র্নিধারিত ভাড়া হচ্ছে মেঘনা-গোমতির ব্রিজের টোল সহ ৩০ আসন (চালক ব্যাতীত) ২৬১.৬৫ টাকা। আর ৫১ আসনের ভাড়া (চালক ব্যাতীত) ২৬৪.৪৯ টাকা। লক্ষ্মীপুর থেকে ঢাকাগামী ইকোনো পরিবহন, ঢাকা এক্্রপ্রেস, গ্রামীন পরিবহন ও জোনাকী পরিবহন সরকার কর্তৃক ভাড়া চেয়ে দ্বিগুন হারে বাস ভাড়া আদায় করছে। ইকোনা পরিবহন ও ঢাকা এক্্রপ্রেস ৩৬ সিটের কথা বলে ৫৫০ টাকা করে বাস ভাড়া নিচ্ছে। আর গ্রামীন পরিবহন ও জোনাকী পরিবহন ৫২ সিটের গাড়ী ৫০০ টাকাকরে বাস ভাড়া নিচ্ছে।
লক্ষ্মীপুর বাস র্টামিনালে কথা হয় ঢাকা গামী যাত্রী আব্দুর রহিমের সাথে পরিবার নিয়ে বাড়িতে ঈদ করতে এসেছে কাল অফিস তাই আজ ফিরতে হবে ইকোনোর টিেিকট কিনেছে ৩ টি ৫৫০ টাকা করে।
তিনি বলে গতবার ছিল চারশত টাকা আর এবার নিচেচ ৫৫০ টাকা করে কিন্তু দেখার কেউ নাই। আরেক যাত্রী শামীমা সুলতানা ঢাকা এক্্রেেপ্রসের টিকেট নিয়েছেন ২টি ৫৫০ টাকা করে। তিনি অভিযোগ করেন বাস কাউন্টার ও র্টামিনালে সরকারের র্নিধারিত ভাড়ার তালিকা টাঙ্গানোর কথা থাকলে কোন ভাড়ার চার্ট নাই।
সাইদুর রহমান যাচ্চেন যাচ্ছেন ঢাকায় কিনেছেন জোনাকী কাউন্টারের টিকেট তার কাছ থেকে নিয়েছেন ৫০০ টাকা করে।
ইকোনো পরিবহনের লক্ষ্মীপুর র্টামিনালের ম্যানাজার সুমন ঘোষ জানান কে সরকারের র্নিধারিত বাস ভাড়ার চেয়ে দ্বিগুন হারে বাস ভাড়া নেওয়ার কারণ স¤র্পকে জানান আমরা বাসমালিক সমিতির র্নিধারিত ৪০০ টাকার চেয়ে বেশি মাত্র ১৫০ টাকা করে বেশি নিচ্ছি। কারণ ঢাকা থেকে এখন বাস ১০-১৫ জনের বেশি যাত্রী আসে না।
এ ব্যাপারে লক্ষ্মীপুর বিআরটিএর সহকারী পরিচালক সৈয়দ আইনুন হুদা চৌধুরী বলেন এ ব্যাপারে বাস কোম্পানির লোকজনদের ডেকেছি, এবং সোমবারে মোবাইল কোট করেছি এবং তাদেরকে সর্তক করে দিয়েছি তারা যেন সরকার র্নিধারিত ভাড়া চেয়ে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় না করে। তাছাড়া আমাদের নিজস্ব কোন ম্যাজিট্্েরট না থাকায় আমরা ইচ্ছা করলেও মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করতে পারি না। আর বাস মালিকরা আমাদের র্নিদেশ না মানলে তাদের রুট র্পামিট বাতিল করা হবে।
0Share