নিজস্ব প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুর ও নোয়াখালি জেলার জন্য রামগতি উপজেলার চর সেকান্দরে দেড় একর ভূমির ওপর এক কোটি টাকা ব্যয়ে আবহাওয়া অফিসের একটি ভবন নির্মিত হলেও আজো কোনো কার্যক্রম শুরু হয়নি। ফলে উপকূলবাসীর কোন উপকারেই আসেনি এ কেন্দ্র। উল্টো এর ভিতরে প্রতিনিয়ত চলমান অসামাজিক কাজ এলাকাবাসির জন্য অভিশাপই
হয়ে দাড়িঁছে এ কেন্দ্র। ইতোমধ্যে কয়েক বার এটি চালুর আশ্বাস এলো ও তা বাস্তবে পৌঁছায়নি। ২০১১ সালের আদমশুমারী অনুসারে লক্ষ্মীপুর জেলায় বসবাস করছেন প্রায় ১৭ লাখ মানুষ। এর মধ্যে মেঘনা নদীতে ৬২ হাজার জেলে প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন। সরকার ২০০৮-০৯ অর্থবছরে রামগতি পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডে দেড় একর জমির ওপর আবহাওয়া অধিদফতরের অভ্যন্তরীণ নৌ-চলাচল পূর্বাভাস এ কেন্দ্রটি নির্মাণ করেন। নির্মাণের পর থেকেই এখনো পর্যন্ত শুরু হয়নি এর কার্যক্রম।
ফলে নবনির্মিত এ ভবনটি পরিত্যক্ত ভবনে পরিণত হয়েছে। এ সুযোগে বখাটে সন্ত্রাসীদের মদ, জুয়া ও অসামাজিক কার্যকলাপ প্রতিনিয়ত চলছে। ভবনের সামনের বিশাল মাঠ এখন গোচারণভূমিতে পরিণত হয়েছে।
স্থানীয় লোকজন বলেন, কার্যক্রম শুরু হলে এখান থেকে নোয়াখালী ও আবহাওয়ার পূর্ণাঙ্গ তথ্য পাওয়া যাবে। আবহাওয়ার তথ্যের জন্য ঢাকা আবহাওয়া অধিদপ্তরের দিকে আর এ অঞ্চলের মানুষকে তাকিয়ে থাকতে হবে না।
২০১৩ সালের জুলাই মাসে লক্ষ্মীপুর জেলা ত্রাণ পুনর্বাসন কর্মকর্তা লক্ষ্মীপুরটোয়েন্টিফোর ডটকম কে জানান, আবহাওয়া অফিস ভবনটি পরিত্যক্ত অবস্থায় আছে বলে আমি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়েছি।
আগামী কয়েক মাসের মধ্যে লোকজন নিয়োগ দেয়া হবে। তারপর এর কার্যক্রম শুরু হলে এখান থেকে নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর জেলার আবহাওয়ার পূর্ণাঙ্গ তথ্য পাওয়া যাবে। কিন্তু এখনও নেই এর কোন তথ্য।
কেন্দ্রটি চালু না হওয়ায় স্থানীয় জমিদাতা রহিম মাঝি, সালামত উল্যাহ, আবদুল খালেক মিয়ার মাঝেও রয়েছে ক্ষোভ। তাদের দাবি, জেলাবাসির প্রাণ বাচাঁতে আবহাওয়া অফিস যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চালু করা প্রয়োজন।”
0Share