নিজস্ব প্রতিনিধি: আগষ্টের মধ্য সপ্তাহ থেকে লক্ষ্মীপুর জেলাব্যাপী মোবাইল অপারেটর রবির ইন্টারনেট গ্রাহকরা স্পীড (গতি) নিয়ে চরম ভোগান্তিতে রয়েছে । এ সুযোগে রবি গ্রাহকের পকেট খালি করছে বলে অভিযোগ করছেন গ্রাহকরা। লক্ষ্মীপুরটোয়েন্টিফোর.কম কাছে অনেক গ্রাহক ইন্টারনেট গতি নিয়ে অভিযোগ করেছেন।গ্রাহকরা তাদের প্রয়োজনীয় ২০-৩০কিলোবাইটের একটি ইমেইল পাঠাতে কমপক্ষে আধা ঘন্টা সময় ব্যয় করার পরও কাজ শেষ করতে পারছে না বলেও অভিযোগ করছেন। এ নিয়ে লক্ষ্মীপুরটোয়েন্টিফোরের পক্ষ থেকে রবির গ্রাহক সেবা কেন্দ্রে যোগাযোগ করা হলেও কোন সুফল আসছে না। ফলে রবির ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা চরম ভোগান্তি ভোগ করছেন।
অভিজ্ঞ ব্যবহারকারীদের অভিযোগ বিগত কয়েক বছরের মধ্যে এ জেলার ব্যবহারকারীরা বর্তমানে রবি থেকে সর্বনিম্নমানের ইন্টারনেট সেবার নামে ভোগান্তি পাচ্ছেন।
নিম্নমানের ইন্টারনেট সেবা সর্ম্পকে অভিযোগ করে রবির নিয়মিত গ্রাহক সাংবাদিক সানা উল্লাহ সানু জানান, আমি রবির প্রথম দিকের একজন ইন্টারনেট গ্রাহক। আমার এলাকায় ৩জি ইন্টারনেট রয়েছে । কিন্তু তার গতি ১জি ও মনে হয় না। টাওয়ার থেকে ৫শ মিটার দূরে কাজ করে না।তিনি বলেন রবির ইন্টারনেট সেবা এত বাজে মানের যা ভাষায় বুঝাতে পারবো না।তিনি অভিযোগ করে বলেন, আমার দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতার মধ্যে মনে হয় এ কয়েক দিনই রবি সর্বনিম্ম মানের ইন্টারনেট সেবার নামে আমাদের পকেট খালি করছে। তিনি আরো বলেন, তাদের কাছে বারবার অভিযোগ দিচ্ছি কোন কাজ হচ্ছে না। তারা আমাদের কথার কোন পাত্তাই দিচ্ছে না। মনে হয় এ বিষয়টি দেখার মতো দেশে কোন লোক নেই। আমরা বাধ্য হয়েই এখনও ২জি নামের বাজে সেবা নিচ্ছি।
ইন্টারনেট স্পীডের এ সমস্যার কারণ অনুসন্ধান করতে গেলে, লক্ষ্মীপুর জেলার কয়েক জন অভিজ্ঞ ইন্টারনেট গ্রাহকদের মধ্যে অন্যতম ছালেহ উদ্দিন পলাশ জানান, গ্রাহকগণ স্লো স্পীডসহ নানা কারণে নিদির্ষ্ট সময়ে তাদের ডাটা ব্যবহার করতে না পারলেও এর মেয়াদ আপনা আপনি শেষ হয়ে যাচ্ছে।এতে গ্রাহকরা আর্থিক ভাবেও ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।
কয়েকজন ব্যবহারকারি অভিযোগ করে বলেন, রবির সকল প্যাকেজ মেয়াদ শেষের দিন প্রথম সেকেন্ডে শেষ হয়। তারা এ ১ সেকেন্ড সময় কে পুরো ১ দিন হিসেব করে।সেটা ও বড় অদ্ভুত। পলাশ জানান, ৭ দিনের প্যাকেজ মানে ৬ দিন ১ সেকেন্ড।
জানা যায়, লক্ষ্মীপুরের ৫টি উপজেলা ৪টি পৌর শহর এবং ৫৮টি ইউনিয়ন রয়েছে । ৫টি ফোন কোম্পানী, ২টি ওযাইম্যাক্স সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান বাংলালায়ন, কিউবি এবং একটি ব্রডব্যান্ড কোম্পানীই শুধুমাত্র সীমিত আকারে লক্ষ্মীপুর জেলা সদরে ৩জি ও ব্রড ব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা দিচ্ছে।
জেলার বিশাল জনগোষ্ঠী ইন্টারনেট ব্যবহার করলেও তাদের ভাগ্যে রয়েছে নিম্নমানের গলা কাটা ২জি ইন্টারনেট সেবা। কেউ কেউ ক্ষুব্ধ হয়ে অভিযোগ করে বলেন, এ ব্যবসাটি সাধারণের বোধগম্য নয় বিধায় বিষয়টি নিয়ে নিজে নিজে ভোগ করা ছাড়া কাহারো সাথে শেয়ার করার সুযোগ নেই। আর এই সুযোগেই এ সকল প্রতিষ্ঠান সেবার নামে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে ।
জেলার ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের প্রত্যাশা সরকার ইন্টারনেটের সেবার মান মনিটরিং এর ব্যবস্থা করবে।
অভিযোগের বিষয়টি নিয়ে রবির কাস্টমার কেয়ার ছাড়া উর্ধ্বতন কর্তৃকপক্ষ এবং বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রনকারী প্রতিষ্ঠান বিটিআরসির সাথে যোগযোগ করা সম্ভব হয়নি।
0Share