২০ কিঃমিঃ লক্ষ্মীপুর-রায়পুর আঞ্চলিক সড়কের নির্মাণকাজ গত এক বছরও শেষ হয়নি। অর্ধেক কাজ করলেও বাকী কাজ গত ৬ মাস ধরে বন্ধ রয়েছে। কাজে নানা অনিয়মের অভিযোগ করছেন এলাকাবাসী। নিয়ম অনুযায়ী প্রতিদিন লরিতে করে ধুলা রোধে পানি ছিটানোর কথা থাকলেও তা না দেওয়ায় আশপাশের গাছপালা ও ফসলের ক্ষেত বিবর্ণ হয়ে গেছে। এতে পথচারী, গ্রামবাসী ও পরিবহন চলাচলে মারাত্মক দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
লক্ষ্মীপুর সওজ সূত্র জানায়, লক্ষ্মীপুর থেকে রায়পুরের বর্ডার পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার নির্মাণের জন্য ৫৮ কোটি ৯৪ লাখ ১৩ হাজার ৫৭ টাকা বরাদ্দ হয় এবং চন্দ্রগঞ্জ থেকে লক্ষ্মীপুর পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণে ৭৪ কোটি ১৬ লাখ ৯৭ হাজার ৬৯ টাকা বরাদ্দ হয়।
সংস্কার কাজ দুটি পায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কুমিল্লার রানা বিল্ডার্স। পরে প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে যৌথভাবে কাজে চুক্তিবদ্ধ হয় হাসান বিল্ডার্স ও মেসার্স সালেহ আহমেদ। তারা ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে কাজ শুরু করে আজও ঢিলেঢালাভাবে চলছে এবং আঞ্চলিক মহাসড়কের সংস্কার ও সম্প্রসারণসহ চলছে উন্নয়নের খোঁড়াখুঁড়ি।
স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, ধীরগতিতে সংস্কার কাজের কারণে বাড়ছে এ সড়কে দুর্ঘটনা ও ধুলাবালুর অত্যাচার। বর্ষাজুড়েই ছিল কাদাপানি আর খানাখন্দকের দুর্ভোগ। গত ৬ মাস কাজ বন্ধ রয়েছে। এখন সড়কে বেরোলেই মুখোমুখি হতে হচ্ছে ধুলাবালির, এই দুর্ভোগ যেন নিত্যদিনের সঙ্গী। ধুলাবালুর আন্তরণে ঢাকা পড়ে যাচ্ছে সড়কের আশপাশের ভবন, দোকানপাট ও গাছপালা। সড়কে পানি না দিয়ে ঠিকাদার নিজের ইচ্ছে মতো কাজ করায় উন্নয়নের ধুলায় শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে এলাকাবাসীর।
এব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে হাসান বিল্ডার্স ও মেসার্স সালেহ আহমেদ জানান, সড়ক সংস্কার কাজে ব্যবহারকৃত যন্ত্রপাতির কারণে সড়কে কাজ একটু দেরী হচ্ছে। সহসায় বাকী কাজগুলো শেষ করা হবে। পানি ছিঠানো ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
0Share