ঘূর্ণিঝড় ফণির কারণে ৩ মে থেকে লক্ষ্মীপুরের বহু এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ ছিল। আবার ৪ মে তারিখ রাতের বেলায় ঝড়ে জেলার বহু এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইনের ওপর গাছ পড়ার কারণে পরবর্তীতে জেলাব্যাপী বিদ্যুৎ সরবরাহ বিচ্ছিন্ন করা হয়। ঝড় চলে যাওয়ার পর শনিবার বেলা ২টার পর থেকে জেলা শহর এবং পৌরসভা গুলোতে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হলেও অন্ধকারে থেকে যায় গ্রামীণ এলাকাগুলো।
লক্ষ্মীপুরের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকার মধ্যে রামগতি ও কমলনগর উপজেলার অনেক স্থানে রবিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করা যায়নি। ঝড়ের তাণ্ডবে বিতরণ ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে পড়ায় দুটি উপজেলাযর বহুস্থানে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। এতে দুই উপজেলায় কয়েক হাজার গ্রাহক দুর্ভোগে পড়েছেন।
লক্ষ্মীপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির অভিযোগ কেন্দ্র যোগাযোগ করা হলে ওখান থেকে জানানো হয়, রবিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত বিদ্যুৎ ব্যবস্থা স্বাভাবিক হবে। তবে রবিবার রাত সাড়ে ৯টায় কমলনগরের উত্তর চর লরেঞ্চ গ্রামের গ্রাহক মোঃ কামাল হোসেন অভিযোগ করেন তাদের এলাকায় এখনো বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়নি।
রামগতি আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক জানান, গাছপালা পড়ে বিস্তীর্ণ এলাকায় বিদ্যুতের সঞ্চালন লাইন ছিঁড়ে গেছে। কয়েকটি স্থানে খুঁটি ও টাওয়ার ভেঙে পড়েছে। এ কারণে চাঁদপুর গ্রিড থেকে রামগতি বিতরণ-উপকেন্দ্র পর্যন্ত ৮৫ কিলোমিটার ৩৩ কেভি লাইনটির অনেক স্থানে পুরো চালু করা যাচ্ছে না।
জেলার রায়পুর এবং রামগঞ্জের কিছু কিছু এলাকায়ও বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়নি।
বিদ্যুৎ গ্রাহকরা জানায়, ঝড়ে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে খুঁটি উপড়ে পড়ে। গাছ ভেঙে লাইনের ওপর পড়ায় বৈদ্যুতিক লাইনসহ বিভিন্ন যন্ত্রাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর পর থেকে আর বিদ্যুতের দেখা মেলেনি। এমন পরিস্থিতিতে গত ৫৪ ঘন্টা অন্ধকারে কেটেছে এবং এখনও সবগুলো গ্রামে বিদ্যুত সরবরাহ ঠিক হয়নি।।
কমলনগর পল্লী বিদ্যুতের সাব সেন্টারের ইনচার্জ বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত ৩৩ কেবি প্রধান সঞ্চালন লাইনের মেরামত কাজ শেষ হলেও এখনও সবগুলো লাইনের কাজ শেষ করা সম্ভব হয়নি। প্রধান লাইন মেরামত হলে; বিভিন্ন এলাকার লাইনগুলো মেরামত করা হবে। এতে আরও কিছু সময় লাগতে পারে।
0Share