মহিউদ্দিন ভূইঁয়া মুরাদ: অভয়াশ্রমে দুই মাস মাছ ধরায় সরকারি নিষেধাজ্ঞা থাকলেও প্রতিদিনই ওইসব এলাকা থেকে মাছ ধরার সরঞ্জাম জব্দ করছে কোস্ট গার্ড। সরকারি সহায়তা না পাওয়ায় বাঁচার তাগিদেই জাল নিয়ে নদীতে যেতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মৎস্যজীবীরা। মার্চ-এপ্রিল দুই মাস চাঁদপুরের ষাটনল থেকে লক্ষ্মীপুরের রামগতির আলেকজান্ডার এলাকায় মেঘনা নদীর প্রায় ১০০ কিলোমিটার জুড়ে সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ করেছে সরকার। নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন জেলেদের পুনর্বাসনের জন্য গরু, ছাগল, হাঁস-মুরগি, চাল ও নগদ টাকার সহায়তা দিচ্ছে সরকার। এর মধ্যেই প্রতিদিন গড়ে প্রায় পাঁচ হাজার মিটার জাল জব্দ করে তা নষ্ট করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন লক্ষ্মীপুরের কোস্টগার্ড কন্টিনজেন্ট কমান্ডার মো. মাহবুব উদ্দিন। তিনি বলেন, গত তিনদিনে প্রায় ২৫ হাজার মিটার জাল পোড়ানো হয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালতে বিচার করা হচ্ছে জেলেদের। স্থানীয় মৎসজীবী সমিতির সভাপতি মোস্তফা ব্যাপারী জানান, লক্ষ্মীপুরের রায়পুর, সদর, কমলনগর ও রামগতি উপজেলায় মৎস্যজীবীর সংখ্যা প্রায় ৩০ হাজার।
আর সরকারি সহায়তা পাওয়ার জন্য জেলা মৎস্য অধিদপ্তরের তালিকাভুক্ত জেলের সংখ্যা ১৮ হাজার। যেসব জেলে সহায়তা পাচ্ছে না পেটের তাগিদেই তারা নিষেধাজ্ঞা অমান্য করতে বাধ্য হচ্ছেন বলে দাবি করেন মোস্তফা। এ বিষয়টি স্বীকার করে জেলা মৎস্য কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক হাফিজ উদ্দিন আহমদ জানান, জেলার তালিকাভুক্ত প্রায় ১৮ হাজার জেলেকে সহায়তা দেয়া হচ্ছে। তালিকা থেকে বাদপাড়া জেলেদেরও পর্যায়ক্রমে পুনর্বাসনে সহযোগিতা করার চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।
0Share